Created by - Analyst Skill
সিএ বা সিএমএ পড়ার ক্ষেত্রে অনেককেই কোচিং নিয়ে নানান মন্তব্য করতে দেখা যায়। কেউ বলে কোচিংয়ের দরকার নেই, আবার কেউ বলে কোচিংয়ের দরকার আছে। আসলে কোনটি সঠিক? আজকে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। আমি আইসিএমএবির একজন ফাইনাল লেভেলের স্টুডেন্ট। আমি ১৯০০ মার্কস কমপ্লিট করেছি। যার মধ্যে বেশিরভাগ সাবজেক্টই পাস করেছি চাকরির পাশাপাশি। আমি পাস করেছি নিজে নিজে পড়ে। কোন প্রাইভেট টিউশন সাপোর্ট নেয়নি। তাও আমি বলবো যে টিউশন সাপোর্টের প্রয়োজন আছে। তবে তা সবার জন্য নয়। আসুন নিচে ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত জানি। টিউশন সাপোর্ট কাদের জন্য দরকার? ১। যাদের বেসিক দুর্বল বা নন-কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন, তাদের বেসিক ভাল মত ক্লিয়ার না হলে সিএ বা সিএমএ এর মত কঠিন পরিক্ষা পাস করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে একজন দক্ষ শিক্ষক বা মেন্টর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। ২। অনেকের ক্ষেত্রেই সিএ বা সিএমএ তে যে ধরণের বই বা টপিক পড়ানো হয়, তা বুঝতে খুব কষ্ট হয়, বা বোঝা গেলেও তার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। পরে দেখা যায় যে, পুরো সিলেবাস সঠিক সময়ে কাভার করা সম্ভব হয় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন টপিক কঠিন লাগার কারণে শিক্ষার্থীরা সেই টপিক সঠিকভাবে না বুঝেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেই। ফলশ্রুতিতে পরিক্ষায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়। এইসব ক্ষেত্রেও একজন মেন্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ৩। অনেকে আছেন যারা চাকরি করার পাশাপাশি সিএ বা সিএমএ পড়ছেন। সেক্ষেত্রে চাকরি করে রাতে বাসায় এসে এমনিতেই পড়ার সময় পাওয়া যায় কম। তার মধ্যে আবার যদি নিজে থেকে সব পড়তে হয়, সেক্ষেত্রে আরও কষ্ট। শেষমেশ দেখা যায় যে, কয়েকটা পরিক্ষা দেবার পর যখন আশানুরূপ ফল আসে না, তখন পড়াই বাদ দিয়ে দেবার মত অবস্থা এসে দাঁড়ায়। এইসব ক্ষেত্রেও একজন ভাল মেন্টর আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ৪। আবার অনেকে আছেন, কিভাবে করে কি পড়বে, কোন বই থেকে কোন পড়বে, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সথিকভাবে অবগত নয়। আর অবগত থাকলেও কয়েকটি বই ম্যানেজ করে পড়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এইসব ক্ষেত্রেও একজন ভাল মেন্টর আপনাকে সাহায্য করতে পারে। টিউশন সাপোর্ট কাদের জন্য প্রয়োজন নেই? যাদের ক্যালিভার ভাল এবং নিজে নিজেই সিলেবাস ও প্রশ্নের ধরণ অ্যানালাইসিস করার ক্ষমতা রাখে এবং নিয়মিত রুটিনমাফিক পড়ালেখা করতে পারে, তাদের জন্য টিউশন সাপোর্ট জরুরী নয়। আমি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে প্রফেশনাল স্টাডি সম্পর্কিত ফ্রি ভিডিও ও গাইডলাইন দিয়ে আসছি, সেহেতু আমি দেখেছি অনেকেই আছেন যাদের নিজে নিজে স্টাডি করে এই প্রফেশনাল পরিক্ষা পাস করা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বা হয়ত পর্যাপ্ত সময় পায়না। তাদের জন্য বিশেষ করে টিউশন সাপোর্ট একটি উপকারি ভূমিকা পালন করতে পারে। একজন দক্ষ মেন্টরের টিউশন সাপোর্টের মাধ্যমে আপনাকে কিভাবে উপকৃত করতে পারেঃ প্রফেশনাল স্টাডি, বিশেষ করে বাংলাদেশে সিএ বা সিএমএ করার ক্ষেত্রে অনেকেই শুধুমাত্র সঠিকভাবে প্রিপারেশন না নেয়ার অভাবে পরিক্ষাগুলোতে পাস করতে পারে না। সেজন্য অনেকে প্রেফার করে কোন মেন্টরের মাধ্যমে টিউশন সাপোর্ট নিয়ে পরীক্ষার প্রিপারেশন নেয়ার। এখানে আমি আলোচনা করবো যে আপনি কিভাবে একজন দক্ষ মেন্টরের সাপোর্ট নিয়ে উপকৃত হতে পারবে এবং প্রফেশনাল পরিক্ষায় ভাল করতে পারেন। ১। সম্পূর্ণ সিলেবাসকে অ্যানালাইসিস করে যেই টপিকগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলর উপর গুরুত্ব দেয়া। ২। কঠিন টপিকসগুলোকে সহজ ভাষায় ও সহজ উদারহণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া। ৩। যেসব সাবজেক্টে বিভিন্ন বই থেকে পড়তে হয়, সেইসব সাবজেক্টের একজন মেন্টর সবগুলো বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে একত্রিত করে নোটস তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে পারে। ৪। পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন ম্যাথ্সগুলো সহজে বোঝা ও সলভ করার জন্য একজন মেন্টর ভূমিকা রাখতে পারে। ৫। অনেক টপিকস আছে যা সাধারনত বই পড়ে পড়ে বুঝতে সময় বেশি লাগে। অনেকের হাতে হয়ত এত সময় থাকে না। বিশেষ করে যারা চাকরি করে। একজন মেন্টর যদি জিনিসগুলো ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই সেই টপিকগুলো একজন শিক্ষার্থী বুঝে ও শিখে নিতে পারে। কোন টিউশন প্রভাইডারের কাছে যাওয়া উচিত হবে? টিউশন প্রভাইডার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদিও আমাদের দেশে সিএ বা সিএমএ এর টিউশন প্রভাইডারের সংখ্যা খুবই নগণ্য, তবে একটু এদিক সেদিক খুঁজলে কয়েকজনকে অবশ্যই পেয়ে যাবেন যারা টিউশন সাপোর্ট দিচ্ছে। মেন্টর নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কাউকে বেঁছে নেয়া উচিত যিনি যথেষ্ট যোগ্য, অর্থাৎ সিএ বা সিএমএ ফাইনাল লেভেল আছেন বা পাস করে মেম্বার হয়ে গেছেন এমন কাউকে। সেই সাথে তিনি কঠিন বিষয় সহজভাবে বোঝাতে পারেন কিনা, সেই বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। তার সাথে সাথে নিচের বিষয়গুলোও যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখেঃ ১. ক্লাস কি অফলাইনে হবে নাকি অনলাইনে? ২. অফলাইনে হলে কোথায় হবে? কোচিংয়ের স্থান আপনার জন্য কনভেনিয়েন্ট হবে কিনা তা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। তা না হলে আসা-যাওয়া করতেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবে? ৩. অনলাইনে হলে সেটি কিভাবে নেয়া হবে? কেননা, ম্যাথস রিলেটেড বিষয়গুলো অনলাইনে কিভাবে করানো হবে তা জানাও জরুরি? অনেকে আছেন যারা শুরু মাইক্রসফট পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড বা ওয়ার্ডে ম্যাথস করিয়ে কোর্স শেষ করে দেয়। তাই এসব ক্ষেত্রে কোন গ্রাফিক্স পেন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হবে কিনা, তা জানাও জরুরি। ৪. ক্লাস লেকচারের জন্য কি পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড ব্যবহার করা হবে নাকি সরাসরি পিডিএড ও ওয়ার্ডের মাধ্যমে পড়ানো হবে, তাও জেনে নিয়ে হবে। ৫. অনলাইনে ক্লাসগুলো কি লাইভ হবে, নাকি রেকর্ডেড ক্লাস থাকবে, নাকি লাইভ ও রেকর্ডেড ক্লাসের কম্বিনেশন থাকবে? অনলাইনে কোর্সগুলো যদি লাইভ ও রেকর্ডেড ক্লাসের কম্বিনেশনে হয়, তাহলে সেটি বেশি ভাল হয়। এতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দমত সময়ে রেকর্ডেড ক্লাসগুলো থেকে শুরু থেকেই প্রিপারেশন নেয়া শুরু করে দিতে পারে। ৬. টিউশন সাপোর্টের সাথে কি কোন নোটস দেয়া হবে কিনা? যদি না হয়, তাহলে আপনাকে ঐ সেই বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। তবে যদি আলাদাভাবে স্পেশাল নোটস দেয়া হয় যেখানে গুরুত্বপূর্ন বিষয়সমূহ ও বিভিন্ন প্রশ্নের সলিউশন থাকবে, তাহলে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল হয়। ৭. টিউশন সাপোর্টের সাথে কি কোন মডেল টেস্টের ব্যবস্থা আছে? যদি না থাকে, তাহলে এটি একটি সমস্যা কারণ মডেল টেস্ট দিলে আপনি আপনার লেভেল বুঝতে পারবেন। মডেল টেস্ট অফলাইন বা অনলাইন দুইভাবেই হতে পারে। ৮. লাইভ ক্লাসের রেকর্ডেড ভিডিও কি দিয়ে দেয়া হবে? ৯. অনলাইনের ক্লাসগুলো কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হবে কি না? যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যেমে নেয়া হয়, তাহলে LMS (Learning Management System) এর সুবিধা পাওয়া যাবে এবং রেকর্ডেড ও লাইভ ক্লাসগুলো সহ ওভারঅল সাবজেক্ট প্রিপারেশন খুব সহজেই ম্যানেজ করা যাবে। ১০. প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য কতগুলো ক্লাস নেয়া হবে? ক্লাসের সময় কখন হবে? প্রতিটি ক্লাস কত ঘণ্টার হবে? এসব বিষয় সম্পর্কেও জানতে হবে। টিউশন সাপোর্টের জন্য কত টাকা ফি হওয়া উচিত? মেন্টরের যদি যথেষ্ট কোয়ালিফিকেশন থাকে এবং সহজে কোন টপিক বোঝানোর সক্ষমতাসহ ওভারঅল টিউশন প্রোগ্রামের প্যাকেজ ভাল হয়ে থাকে, তাহলে ফি বেশি হলেও তার কাছে যাওয়া উচিত। কেননা, সামান্য কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে এমন মেন্টরের কাছে না আবার চলে যান যেখান থেকে তেমন ভাল কোন আউটপুট পাবেন না। বেস্ট জিনিস পেতে হলে টাকা একটু বেশি খরচ হবেই। আইসিএবি বা আইসিএমএবি থেকে কোন টিউশন সাপোর্ট দেয়া হয় না? জ্বী, অবশ্যই দেয়া হয়। তবে, সত্য কথা হচ্ছে, প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এর কোচিং এ আপনি পুরোপুরিভাবে সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। এর কারণ হচ্ছে, সেখানে মূলত বেসিক বিষয়সমূহ কাভার করা হয়। সেই সাথে কোর্সের সময় কম থাকার কারণে সবগুলো টপিকের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হয় না। তার সাথে সাথে ইনস্টিটিউট এর কোচিং এ যারা ক্লাস নেয়, তাদের বেশিরভাগই সিনিয়র পজিশনে আছেন। যার কারণে তারা অনেক সময় পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ার কারণে ঠিকমত ক্লাস নিতে পারে না। এছাড়াও, সিএ বা সিএমএ প্রশ্ন দেখলে দেখা যায় যে, ইনস্টিটিউট এর কোচিং ক্লাসে যা যা পড়ায় বা পড়িয়েছে, তার থেকে বা সেই লেভেলের ডিফিকাল্টি থেকে তেমন প্রশ্ন আসেনি। যার কারণে একটি স্টুডেন্টকে এসব পরীক্ষা পাস করতে হলে আরো ফোকাস দিতে হয়। তখন অনেকে আবার ফেইল করে পড়ায় ছেলে দেয় অনেকে হয়ত আমার এসব কথা সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবে আমি যা বলেছি, তা বলেছি সম্পূর্ণ বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে। ইন্ডিয়াতে প্রফেশনাল ডিগ্রীর টিউশনের কি অবস্থা আমরা যদি আমাদের পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতের দিকে তাকায়, তাহলে আমরা দেখবো যে, সেখানে প্রফেশনাল সিএ, সিএমএ বা সিএস মেম্বারসরা টিউশন সাপোর্ট দিচ্ছে। তাদের প্রত্যেকেরই দেখা যাবে ইউটিউবে চ্যানেলও আছে। আমাদের মধ্যেও অনেকে আছে যারা সেই ইন্ডিয়ান প্রফেশনালসদের টিউশন সাপোর্টের ভিডিও ইউটিউবে দেখে আমাদের প্রফেশনাল সাবজেক্টস পাস করেছি, কিন্তু যখন নিজের দেশের কেউ টিউশন সাপোর্ট দিতে আসে, তখন বলি যে এগুলোর কোন দরকার নেই। বিদেশের প্রফেশনাল ডিগ্রীগুলোর কি টিউশন সাপোর্ট আছে? জী, হ্যাঁ। আপনি যদি CPA (AICPA), CMA (IMA – USA), CFA, CIMA, ACCA, CIA (IIA), FRM ইত্যাদি বিদেশি প্রফেশনাল ডিগ্রীগুলোর কথা ধরেন, তাহলে দেখবেন সেইসব পরীক্ষার জন্য টিউশন সাপোর্ট দেয় এমন বেশি কিছু কোম্পানি আছে। যারা এইসব বিদেশি প্রফেশনাল ডিগ্রীগুলো পাস করেছে বা পরীক্ষা দিবে, তারাও ঐসব ডিগ্রীর জন্য যারা টিউশন সাপোর্ট দেয়, এমন জায়গা থেকে টিউশন সাপোর্ট নিয়েছে বা নিয়ে থাকে। সারমর্ম মূলত, কার টিউশন সাপোর্ট লাগবে, আর কার টিউশন সাপোর্ট লাগবে না, তা নির্ভর করবে শিক্ষার্থীর নিজের উপর। কেউ যদি মনে করে যে তার টিউশন সাপোর্টের দরকার নেই, তাহলে তো কোন কথাই নেই। উদাহরণসরূপ যেমন আমার কথা বলতে পারি। আবার অন্যদিকে যার টিউশন সাপোর্ট লাগবে, সে সেই সাপোর্ট নিতেই পারে। এক্ষেত্রে সিএ / সিএমএ এর টিউশন মানেই যে খারাপ জিনিস, এমনভাবে বলার কোন সুযোগ নেই।
More detailsPublished - Thu, 01 Jun 2023
Created by - Analyst Skill
আপনার ব্যবসায়ের পরিচালনা কার্যক্রম যত উন্নত করবেন ক্যাশ ফ্লো ও ঠিক ততটাই হেলদি হবে। যদি আপনার ব্যবসায়ে আগত অর্থের পরিমান খরচ হওয়া অর্থ অর্থাৎ নির্গত অর্থের পরিমানের চেয়ে কম হয় তাহলে আমরা তাকে নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো বলি। মাঝেমধ্যে এই নেগেটিভ ক্যাশ ফ্লো-র কারন থাকে কিছু এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর। তবে বেশিরভাগ সময় এর কারন খুজলে দেখা যায় ব্যবসায় পরিচালনায় আমাদের অদক্ষতা কিংবা বিক্রয় এবং খরচের মধ্যে এক প্রকার অসমাঞ্জস্যতা। তবে কারন যাই হোকনা কেন, একটু চেষ্টা করলেই আমরা ব্যবসায়ের ক্যাশ ফ্লো কিছুটা হলে ও বাড়াতে পারবো। কি কি পদক্ষেপ আমরা অনুসরন করতে পারি তা নিচে আলোচনা করা হলো। কাস্টমারদেরকে দ্রত টাকা দেয়ার জন্য উৎসাহিত করুন (Encourage customers to pay early) মাঝেমধ্যেই দেখা যায় আমরা কাস্টমারের পেমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সিচুয়েশনে নিচের পদক্ষেপ অনুসরন করে আপনি কাস্টমারদের নিকট পাওনা অর্থ দ্রুত আদায় করতে পারেন। কাস্টমারকে আগেই পন্য পাঠিয়ে না দিয়ে যখন সে ক্রয়ের জন্য পুর্ন প্রস্তুত থাকবে তখন ইনভয়েস তৈরি করে পন্য ডেলিভারি করা। পেমেন্ট করার জন্য কাস্টমারকে একাধিক অপশন দেওয়া, যেমন, ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ, চেক ইত্যাদি। যদি সম্ভব হয় দ্রুত পেমেন্ট করলে কিছু ডিস্কাউন্ট অফার করা যেতে পারে। যেমন দশ দিনের মধ্যে পে করলে । দশমিক ৫% ডিস্কাউন্ট। বড় অর্ডারের ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা নেওয়ার চেষ্টা করা। দেনা পাওনা নিয়মিত তদারকি করা। সকলকে তাগাদা দেওয়া। কাস্টমারের যেকোন অভিযোগ দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা। স্টাফিং এবং এ সংক্রান্ত ক্যাশ ফ্লো ম্যানেজ করা (Manage staffing and cash flow) কর্মীসংস্থানের ক্ষেত্রে নিচের পরিবর্তন গুলো কিছু পরিমান অর্থ সেভ করবে। রোস্টার সিস্টেমে কর্মী সংস্থান করলে পিক টাইমে কর্মীদের সর্বোচ্চ সার্ভিস পাওয়া যায়। আবার ডিকলাইনিং আওয়ারে খুব বেশি কর্মী বসিয়ে রাখতে হয়না। কাস্টমারের পেমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত সেলস কমিশন না দেওয়া। ক্যাশ ফ্লো বাড়ায় কর্মীদের এমন যেকোন কর্মকান্ডের জন্য পুরষ্কৃত করা। যেমন সেলস টার্গেট রিচ করা বা পাওনা অর্থ আদায় করা। কোম্পানির স্টক এবং সাপ্লায়ারদের ম্যানেজ করা (Manage your stock and suppliers) যে ধরনের সাপ্লাইজ গুলো থেকে আপনি এখনো অর্থ আদায় করতে পারছেননা সেগুলোর জন্য নিশ্চয়ই আপনি পে করতে চাইবেননা। যেমন আপনি র-ম্যটেরিয়ালস ক্রয় করলেন কিন্তু বিক্রীত ম্যানুফ্যাকচারড গুডসের টাকা এখনো হাতে পাননি। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই র ম্যাটেরিয়ালসের টাকা পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য। তাই ইনকাম এবং খরচের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনতে হবে। যেসব পন্যের স্টক ধীরে ধীরে বিক্রী হয় সেগুলো কম রাখুন বরংচ যেগুলো দ্রুত বিক্রী হয় সেগুলোতে শিফট করুন। পন্যের স্টক কতটুকু আছে তা সব সময় মনিটর করুন। বিনা কারনে আগেভাগে স্টক করার দরকার নেই। এতে ক্যাশ ফ্লো র উপর নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে। এমন ধরনের সাপ্লাইয়ার খুজে বের করুন যারা সাপ্লাই করবে যখন আপনার দরকার তখনই। অর্থাৎ আপনার স্টক শেষ হলে তবে মাল সাপ্লাই করবে। বিনা কারনে স্টক স্টোর হাউজে পড়ে থাকবেনা ফলে ক্যাশ ফ্লো কিছুটা কন্ট্রোল হবে। যদি বাকিতে মাল ক্রয় করার সুযোগ থাকে তাহলে এটার পুর্ন ব্যবহার করুন। কারন এটা একধরনের ইন্টারেস্ট ফ্রি লোন। অন্যান্য অ্যাসেট ও ইনভেস্টমেন্ট বিবেচনা করা (Consider your other assets and investments) অপ্রয়োজনীয় অ্যাসেট বিক্রি করা (Sell unnecessary assets) অনেক সময় ব্যবসায়ের অপ্রয়োজনীয় সম্পত্তি পড়ে থাকে। যেটা স্টোরেজ করা এবং ইন্স্যুরেন্স করার জন্য বাড়তি খরচ হয়। সেসব সম্পদ বিক্রী করা গেলে বাড়তি টাকা পয়সা আসবে সেই সাথে অতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে আসবে। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে অ্যাসেট লিজ নেওয়া(Leasing assets) যদি ব্যবসায়ে নতুন সম্পত্তির প্রয়োজন হয় তাহলে চেষ্টা করুন লিজ নেওয়ার ফলে ক্যাশ কম খরচ হবে। অতিরিক্ত ক্যাশ ইনভেস্ট করা (Invest surplus cash) চেষ্টা করুন সুদ প্রোভাইড করে এমন ব্যাংক একাউন্ট ক্রিয়েট করার। ফলে অতিরক্ত ক্যাশ কিছু বাড়তি ইনকাম জেনারেট করবে। কোম্পানির মার্কেটিং স্ট্রেটেজি রিডিফাইন করা (Refine your marketing strategy) মার্কেটিং একটিভিটিজ আরো ফ্রুটফুল করলে আলতিমেটলি সেলস বাড়বে এবং ক্যাশ ফ্লোতে পজেটিভ ইম্প্যাক্ট পড়বে। টার্গেট মার্কেটে ফোকাস করা (Focus on your target market) শুরুতেই টার্গেট মার্কেট রিসার্চ ভালো করতে হবে। এর ফলে আপনি সাম্ভাব্য কাস্টমারের ব্যপারে ধারনা পাবেন যা বাকি সবকিছুকে সহজ করে দিবে। রিসার্চে দেখা যায় যে ব্যবসা কাছে টার্গেট মার্কেটের ব্যপারে যত ভালো ধারনা রাখে তাদের মার্কেটিং খরচ তত কমে আসে। ধরেন আপনি ডায়াপার বিক্রি করেন এবং ফেসবুকে প্রোডাক্ট বুস্ট করবেন চাইলে দেশের সব মানুষকে টার্গেট করতে পারেন অথবা শুধু মায়েদের টার্গেট করতে পারেন। কোনটা বেশি ইফেক্টিভ। এছাড়া টার্গেট মার্কেট সেট করে মার্কেটিং করলে সাম্ভাব্য কাস্টমার আপনার প্রডাক্ট বা অফারিং এর ব্যপারে বেটার আইডিয়া পাবে। কাস্টমাররা কি চায় তা বোঝা (Understand what the customer wants) জানতে হবে আপনার অফার কৃত পন্য বাজারে কোন সমস্যার সমাধান করছে। যখন আপনি কাস্টমারের চাহিদা এবং চাহিদার কারন বুঝতে পারবেন তখন আরো ভালো ভাবে তাদের ইন্টারেস্ট সার্ভ করতে পারবেন। যা আল্টিমেটলি আপনার কাস্টমার বাড়াবে। মার্কেটিং রেজাল্ট পরিমাপ করা (Measure your marketing results) জানতে হবে আপনার কাস্টমার কোথা থেকে আসছে। তারা কী ফেসবুকের এড দেখে আসছে নাকি গুগলের সার্চ কনসোল ত্থেকে আসছে। যদি আপনি এটা ফিগার আউট করতে পারেন তাহলে অপ্রয়োজনীয় খরচ একদম কমে আসবে। যেমন ফেসবুক এড থেকে আপনার প্রডাক্ট কেউ না কিনলে আপনি কেন সেখানে এড দিবেন? অনলাইন প্রেজেন্স বাড়ানো (Improve your online presence) .যদি অনলাইন মার্কেটীং এ এখনো ইনভল্ভ না থাকেন এখনই অনলাইন মার্কেটিং এ খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেন। অনেক ওয়েবসাইট দেখা যায় শুধু কোম্পানির ইনফরমেশন দিয়ে লোডেড থাকে। কিন্তু কাস্টমার কি আসলেই সেটা পড়তে চাচ্ছে? তারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে চাই। তাই বেশি বেশি সিটিএ বাটন ব্যবহার করেন ওয়েবসাইটে। তাহলে ভিজিটর প্রডাক্ট না কিনলে ও তারা ডেটা ব্যবহার করে একটা মডেল দাড় করাতে পারবেন যেটা ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। মার্কেটিং এ অনিয়মিত হলে চলবেনা তাহলে কাস্টমার আপনাকে ভুলে যাবে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইট ল্যটেস্ট ইনফো শেয়ার করে রেলিভেন্ট রাখুন। তাহলে কাস্টমারের সাথে এঙ্গেজ করতে পারবেন। আর যখনই কাস্টোমারের সাথে এঙ্গেজ হবেন তার আচরন সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবেন। যা পরবর্তীতে আপনার মার্কেটিং খরচ কমাবে। প্রোডাক্ট বা সার্ভিসগুলোর বান্ডেল তৈরি করে তা সেল করা (Bundle your sales) স্টক যত দ্রুত আউট করে দিবেন ক্যাশ ফ্লো তত ভালো হবে। তাই চাইলে বান্ডেল অফারিং এর মাধ্যমে বেশি বেশি পন্য সেল করতে পারেন। ফলে দ্রুতই টাকা উঠে আসবে,। কাস্টমারের প্রতি রেস্পন্সিভ হওয়া (Be responsive) কাস্টমারের সব সমস্যার সমাধান করুন তাদের কথা শুনুন। অনাথায় তারা চলে যাবে। রিসার্চে দেখা যায় ৪৫ শতাংশের বেশি মানুষ যারা আগ্রহ প্রকাশ করে তারা আল্টিমেটলি কাস্টমারে কনভার্ট হয়ে যায়। যদি এই বেঞ্ছমার্ক রিচ করতে না পারেন বুঝে নে সমস্যা আপনার প্রসেসে। যদি ফোনে কাস্টমারের এঙ্কোয়ারির এনাসার দিতে দিতে একদম বিরক্ত হয়ে যান তাহলে নিচের প্রশ্নগুলো করেন, যদি ক্রেতা একই প্রশ্ন বারে বারে করে তাহলে একটা ওয়েবসাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রশ্নগুলোর উত্তর সেট করে রাখা সম্ভব? আপনার কি কোন ইমিএল এড্রেস কিংবা ওয়েব কন্ট্যাক্ট ফর্ম আছে যেটা কম গুরুত্বপুর্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যবহার হবে। আপনার কি কাস্টমার এঙ্কোয়ারি সামলানোর জন্য কাউকে হায়ার করা উচিত? ক্যাশ ফ্লো ফোরকাস্ট করা (Forecast your cash flow) আপনার সেলস ট্রেন্ড এবং সামনে অপেক্ষমান খরচের ব্যপারে খোজ খবর রাখুন, এবং নিয়মিত ক্যাশফ্লো ফোরকাস্ট করুন ফলে নিকট ভবিষ্যতের সাম্ভাব্য ক্যাশ ফ্লো শর্টেজ ফেইজ ডিটেক্ট করতে পারবেন। আর যেকোন সমস্যা আগে ডিটেক্ট করতে পারলে সমাধান ও সহজ। একবার ক্যাশ ফ্লো অনুমান হয়ে গেলে একটা প্রশ্ন এরাইজ করুন “ হোয়াট ইফ”। অর্থাৎ কোন একটা সিনারিও চেঞ্জ হলে আপনার ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট কেমন পারফর্ম করে যাচাই করুন। যেমন সেলস কমে গেলে ক্যাশ ফ্লোতে কেমন ইম্প্যাক্ট পড়ে। আশাকরি এই আর্টিকেলটি পড়ে সবাই উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ।
More detailsPublished - Sun, 21 May 2023
Created by - Analyst Skill
একাউন্টিং শব্দটা মাথায় আসলে একটা সময় ছিল যখন আমরা ম্যানুয়াল খাতা বই এর কথা চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন সে যুগ পাল্টেছে। একাউন্টিং হয়েছে সম্পুর্ন সফটওয়্যার বেইজড। ট্যালি প্রাইম ও ঠিক সেরকমই একটি সফটওয়্যার যেটি ডেভেলপ করেছে ট্যালি সল্যুশনস; যারা বিশ্বব্যাপী বিজনেস ম্যনেজমেন্ট রিলেটেড সফটওয়্যার ডেভেলপ করার জন্য সুপরিচিত। ট্যালি প্রাইম ডিজাইন করার মুল উদ্দেশ্য বড় কিংবা ছোট সব ধরনের ব্যবসায়ের একাউন্টিং এবং ফাইন্যন্স রিলেটেড কার্যক্রমকে আরো একটু সহজতর করা। ট্যালি প্রাইম টুলস ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি ব্যবসায়ের মোটামুটি সবরকম ফাইন্যন্সিয়াল ট্র্যঞ্জেকশন ম্যানেজ করা, রিপোর্ট জেনারেট করা বা রেকর্ড মেইন্টেইন করার মত কাজইকরে ফেলতে পারবেন পারবেন একটা সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে । এছাড়া এই টুলস দিয়ে আপনি ইনভয়েস জেনারেট করা, ইনভেন্টরি ম্যনেজ করা, ব্যংকিং ট্যাক্সেশন কিংবা পে রোল ম্যানেজিং এর মত ডিফিকাল্ট কাজ কারবার ও করে ফেওতে পারবেন। আর সবচেয়ে মজার বিষয় ট্যালি প্রাইমের ইউজার ইন্টারফেস। এটা এত বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি যে কম এক্সপার্ট মানুষ জন ও খুব সহজেই এখানে ডেটা এন্ট্রি করতে পারবে। ওহহ আচ্ছা! ট্যালি প্রাইম কিন্তু রিজিওন ওয়াইজ একাধিক ভাষায় ব্যবহারের সুযোগ আছে। তাই বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষের কাজ অন্য প্রান্তের বসে করে ফেলতে পারবেন ট্যালি প্রাইম ব্যবহার করে। ট্যালি প্রাইম কি কি কাজ করে থাকে? (What does Tally Prime do?) এক কথায় বলতে গেলে ট্যালি প্রাইম একাউন্টিং জগতে খুবই শক্তিশালী একটা সফটওয়্যার। যেটা ফাইন্সিয়াল ম্যনেজমেন্টে বং রিপোর্টিং এর কাজে ছোট বড় যেকোন ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্টাব ব্যবহার করতে পারবে। ইনফ্যক্ট ব্যবহার করা সহজ হওয়াই এটা অন্যন্য সফটওয়্যার গুলো থেকে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ। ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় কন্সার্ন ডেটা সিকিউরিটি। সিকিউরিটি ম্যনেজ করতে গিয়ে রুলস রেগুলেশন ম্যনেজ করা অনেক সময় ডিফিকাল্ট হিয়ে যায়। ট্যালি প্রাইম এই সমস্যার সমাধান হিসেবে একটা বিশেষ সিকিউরিটি সিস্টেম অফার করে যেখানে কোন ধরনের রুলস রেগুলেশন ব্রেক করেনা প্লাস ডেটা ও থাকে সিকিউর। এটা ব্যবহারকারীকে ব্যলেন্স শীত, প্রফিট এন্ড লস স্টেটমেন্ট এবং ক্যশ ফ্লো স্টেটমেন্টের ডিটেইলস স্টেমেন্ট জেনারেট করতে সহয়তা করে। আর এই রিপোর্ট ব্যবহার করে আপনি ব্যবসায়ের যেকোন মেজর স্টারাটেজিক ডিসিশন নিতে পারবেন। ট্যালি প্রাইমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এটা নিজের মত করে কাস্টমাইজ করা যায়। ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারী নিজের মত করে ইন্টারফেইজ সাজিয়ে নেয়। যে কাজে একটা বাড়তি গতি নিয়ে আসে। আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে এই সফটওয়্যার একসেস করতে পারবেন। প্লাস রিয়েল টাইম একই একাউন্টে একাধিক ব্যবহারকারী বসে কাজ করতে পারবেন। ফলে টিম ওয়ার্ক আরো অনেক বেশি সহজ হয়। যেহেতু ট্যালি বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানিতেই ব্যবহার করা হয়, সেহেতু ট্যালির উপর আপনার এক্সপার্টিজ থাকা জরুরী যদি আপনি একাউন্টস বা ফাইনান্স সেক্টরে চাকরি করে থাকেন। ট্যালি প্রাইমের বেসিক থেকে একদম এডভান্স লেভেল পর্যন্ত, বলা যেতে পারে, একদম ট্যালি প্রাইমের উপর একদম কমপ্লিট একাউন্টিং প্যাকেজ হাতে কলমে শিখতে পারবেন অ্যানালিস্ট স্কিলের “Tally Prime for Accounting, Inventory & Payroll” কোর্সটি থেকে। ট্যালি প্রাইম এবং ট্যালির মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Tally ERP 9.0 and Tally Prime) ট্যালি সলুশনস এর আগে ট্যালি সফটওয়্যার ডেভেলপ করেছিল একাউন্টিং কে সহজ করার জন্য। ট্যালি ওয়ার্ল্ড ওয়াইজ বেশ পপুলার জলে ও তাদের ইউআই নিয়ে বেশ কিছু ঝামেলা ছিলো। তাই এবারে তারা পুরো প্রক্রিয়া এরেকটু সহজ করার জন্য মেজর কিছু আপগ্রেডেশন এনে লঞ্ছ করেছে ট্যালি প্রাইম। কিছু বেসিক পার্থক্য আমরা নিচের ছকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। No. Difference Tally ERP 9 Tally Prime 1 কোম্পানি ডেটা একসেস আলাদা করে কোম্পানির ডেটা ফোল্ডার পাথ ব্যবহার করতে হতো। ফোল্ডার পাথের পাশাপাশি এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে সিলেক্ট ফ্রম ড্রাইভ অপশন। যা সরাসরি ডেটা একসেস কে সহজ করেছে। 2 মাল্টি টাস্কিং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য একাধিক উইন্ড ওপেন করতে হতো। কিন্তু এখন একটা সিঙ্গেল উইন্ডো ওপেন করেই করা যাবে মাল্টি টাস্কিং। 3 ভাউচার মুড সুইচিং ফাঙ্কশন কি ব্যবহার করে ভাউচার মুডে সুইচ করতে হতো যেটা ছিলো অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড প্রসেস। চেঞ্জ মুড নামের নতুন ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভাউচার মুডে শিফট করা যায়। 4 পেপার ওপটিমাইজিং ডেটার পরিমান যত বাড়তো। নতুন নতুন পেইজের ব্যবহার বাড়তো। যা প্রিন্ট করতে গেলে দরকার পড়তো অতিরিক্ত কাগজের। প্রিন্টিং অপটিমাইজ করলে ডেটা মার্জ করে কম কাগজেই প্রিন্ট করা যায়। 5 এডিটিং ভাউচার ডিটেইলস একটা সিঙ্গেল এন্ট্রি আপডেট করতে হলে তার ধারাবাহিকতায় আরো অনেক ডেটা আপগ্রেড করতে হয়। সরাসরি যেকোন ডেটা একসেস করে তা এডিট করা যায়। ফলশ্রুতিতে রিলেটেড অন্যন্য ডেটা অটোমেটিক আপডেট হবে। 6 ই-ইনভয়েসিং এবং ই-বিল জেনারশন ই-ইনভয়েস বা ই- বা বিল জেনারেট করার বিল্ট কোন অপশন ছিলনা। ই-ইনভয়েস এবং ই-বিল জেনারেট করার ফিচার বিল্ট ইন দেওয়া আছে। 7 সাপ্লিমেন্টারি ডিটেইলস ডিটেইলস খুজে বের করতে হলে প্রত্যেকটা লেজার খুজতে হতো। পার্মানেন্ট ডিটেইলস এবং সাপ্লিমেন্টারি ডিটেইলস আলাদা করে রাখা যায়। ট্যালি প্রাইমের সফটওয়্যারের প্রধান ফিচারসগুলো কি কি (Main Features of Tally Prime) ইতিমধ্যেই আমরা একাধিক বার বলেছি ট্যালি থেকে ট্যালি প্রাইম অনেক বেশি আপগ্রেডেড। এখানে অনেক বেশি দ্রুত এবং ইফেকটিভ ভাবে করা যায়। এখন প্রশ্ন আসতে ট্যালি প্রাইমের এক্স্যাক্ট মেইন ফিচারস গুলো কি? সিম্পল ও আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেস (Simplified User Interface): অন্য আর দশটা একাউন্টিং সফটোয়্যার থেকে ট্যালি প্রাইম আলাদা কারন এটার ইউজার ইন্টার ফেস। এটা বেত বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলিযে খুব সহজেই যে কেউ এটা আয়ত্ত করে নিতে পারবে। ফলে পুরো কাজ করার প্রসেস টা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মুথ এবং ফাস্ট হয়ে গিয়েছে। মাল্টিটাস্কিং কাজ করা সুবিধা (Multitasking Capabilities): ট্যালি প্রাইমের একটা ইম্পরট্যান্ট ফিচার মাল্টি টাস্কিং। এর মাধ্যমে এক সাথে একাধিক কাজ করতে পারবেন। একই সাথে একের অধিক রিপোর্ট, ভাউচার দেখতে পারবেন একই স্ক্রিনে কিংবা একাধিক স্ক্রিনে। সেই সাথে একের অধিক ডেটা ও এন্ট্রি করতে পারবেন একই সাথে একাধিক স্ক্রিনে। দ্রুত সার্চ করা (Quick Search): ট্যালি প্রাইমে সার্চ দেওয়ার ও এক বিশেষ সুবিধা আনা হয়েছে। যেকোন ডেটা তারিখ কিংবা ইভেন্টের নাম বা ক্লায়েন্টের নাম দিয়ে সার্চ করে খুজে বের করতে পারবেন। উন্নত রিপোর্টিং (Enhanced Reporting): ট্যালি প্রাইম আসলে যে জায়গায় অন্য সব সফটওয়্যার থেকে আলাদা সেটা হলো এর কাস্টমাইজেশন। আপনি একটা সিঙ্গেল স্টেট্মেন্টকে নিজের সুবিধা মত কাস্টমাইজ করে দেখতে পারবেন । এর ফলে নিত্য নতুন ইন্সাইট পাওয়া যায়। Tতাই ব্যবসায় সংক্রান্ত ডিসিশন মেকিং ও অনেক বেশি সহজতর হয়ে যায়। রিমোট এক্সেস এবং কলাবোরেশন (Remote Access and Collaboration): আপনার সাথে যদি একটা ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থাকে সেই সাথে থাকে ইন্টারনেট। আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে আপনার ট্যালিপ্রাইম একাউন্ট একসেস করতে পারবেন। এবং যেকোন কাজ ও করতে পারবেন। ফলে একাউন্ট্যন্ট দের জন্য রিমোট জব করা বা নো ম্যাড লাইফ লিড করা অনেক বেশি সহজ জয়ে গিয়েছে। ডেটা সিকিউরিটি (Data Security): এর আগে যে ট্যালি অরিজিনাল ভার্সন ছিল তার চেয়ে ট্যালি প্রাইমের সিকিউরিটি অনেক বেশি উন্নত। নতুন দুনিয়াই সবাই নিজস্ব প্রাইভেসি নিয়ে কন্সার্ন। তাই ট্যালি প্রাইম ও চেষ্টা করেছে ডেটাকে অনেকবেশি সিকিউর করার। ডেটা সিকিউর করতে গেলে আবার কিছু রুলস রেগুলেশনের বাধা থাকে। ট্যালি প্রাইমের সিকিউরিটি এমনভাবে ডেভেলপড যেন এটা কোন রুলস রেগুলেশন ব্রেক না করে। কাস্টমাইজেশন (Customization): প্রত্যেকটা ব্যবসায়ের চাহিদা আলাদা। তাই তাদের একাউন্টিং বুকের ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে। এই সব বিষয় মাথায় রেখে ট্যালি সলুশন্স তাদের নতুন ট্যালি প্রাইমে কাস্টমাইজেশনের অপশন রেখেছে। ব্যবহারকারী চাইলেই নিজের মত করে এই সফটওয়্যার সাজিয়ে নিতে পারবে। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (Inventory Management): ট্যালি প্রাইমে একাউন্টিং সফটওয়্যার হলে ও এখানে চাইলেই আপনি আপনার ব্যবসায়ের ইনভেন্টরি ম্যনেজমেন্টের যাবতীয় হিসাব নিকাশ করতে পারবেন। এবং এখানকার ডেটা অন্যন্য ফাইন্যসিয়াল স্টেটমেন্টের সাথে ইন্টিগ্রেট ও করা যায়। ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স (Tax Compliance): ট্যালি প্রাইমের বিল্ট ইন ফিচারের মাধ্যমে আপনার ট্যক্স এবং ভ্যাট অনেক বেশি একুরেটলি ক্যলকুলেট করা যাবে। প্লাস একাউন্টিং ও হবে ট্যক্স এবং ভ্যাটের নিয়ম নীতি মেনে। ব্যাংকিং এবং রিকন্সিলিয়েশন (Banking and Reconciliation): ট্যালি প্রাইমের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়ের যাবতীয় ব্যংকিং কার্যক্রম অটোমেটেড করে ফেলতে পারবেন। চেক প্রিন্ট করা কিংবা ফান্ড ট্রান্সাফারের মত কাজ করা যাবে এক ক্লিকেই। তাই ফাইন্যন্সিয়াল ট্রান্সেকশনে সময় লাগবে আগের চেয়ে কম। উপরে উল্লেখিত ফিচার গুলো হলো ট্যালি প্রাইমের বেসিক কিছু ফিচার এর বাইরে আরো অনেক ছোট খাট ডিটেইলস এড করা হয়েছে নতুন ট্যালি প্রাইমে। সেই সাথে ইউজারদের কথা মাথায় রেখে এটাকে দিনকে দিন আপগ্রেড করা হচ্ছে। তাই ধরেই নেওয়া যায় আরো অনেক ফিচার সামনে আসবে। ট্যালি প্রাইমের কিছু অসুবিধা (Few Drawbacks of Tally Prime) অন্য সব সফটোয়্যারের মত ট্যালি প্রাইমের ও কিছু অসুবিধা আছে: ট্যালি প্রাইমের সার্ভার সরাসরি ম্যাক ওএস সাপোর্ট করেনা। যদি সাপোর্ট করাতে হয় তার খরচ অনেক বেশি। ট্যালি প্রাইমের কিছু গ্র্যাফিকাল কাজ কারবার হয়তো আরো অনেক বেশি ভালো হতে পারতো। কোথায় থেকে শিখবো ট্যালি প্রাইম? যেহেতু আমাদের দেশের এক কোম্পানিই ট্যালি ব্যাবহার করছে, সেক্ষেত্রে ট্যালি সম্পর্কে জানে, এমন লোকদের মার্কেটে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফ্রেশার হিসেবে নতুন চাকরির জন্য বা অভিজ্ঞ হিসেবে চাকরি পরিবর্তনের জন্য এই ট্যালি প্রাইম এর স্কিল আপনার ক্যারিয়ারকে করতে পারে আরও সমৃদ্ধ। তাছাড়া একটি ইআরপি সফটওয়্যারে এক্সপার্ট হওয়া মানে আপনার বেতন বৃদ্ধির একটি ব্যাপার তো আছেই। কোর্সটিতে এনরোল করতে ক্লিক করুন এই লিংকে। আমাদের ট্যালি প্রাইম কোর্সটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তারপরেও যদি স্পেসিফিক গ্রুপকে টার্গেট করা হয়, তাহলে নিচের লিস্টের সবার জন্যই এই কোর্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ১। একাউন্টিং / ফাইন্যান্স গ্রাজুয়েট যারা চাকরির প্রস্ততির নিচ্ছে। ফ্রেশার হিসেবে চাকরি পেতে ট্যালি প্রাইম কী-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। ২। কমার্স বা যেকোন বিষয়ের ফ্রেশ গ্রাজুয়েট যারা কোম্পানিতে একাউন্ডস/ ফাইন্যান্স / ইনভেন্টরি / সাপ্লাই চেইন ইত্যাদি সেকশনে কাজ করতে চায়। ৩। সিএ সিসি করছে বা শেষ অথবা সিএমএ / এসিসিএ ইত্যাদি প্রফেশনাল ডিগ্রীতে অধ্যয়ন করছে, তারা ট্যালি প্রাইম শিখে স্কিল ডেভেলপ করে চাকরির বাজারে নিজেদের এগিয়ে রাখতে পারে। ৪। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির একাউন্ডস/ ফাইন্যান্স / ইনভেন্টরি ইত্যাদি সেকশনে কাজ করছে, কিন্তু ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যারে সরাসরি কাজ বা ব্যবহার করেনি। ৫। এমন ব্যক্তিরা যাদের ট্যালি ইআরপি সম্পর্কে জানা / ধারণা আছে, কিন্তু কোম্পানি ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যারে শিফট করেছে বা ট্যালির আরও এডভ্যান্সড ব্যবহার শেখার জন্য। ৬। যেকোন একাউন্টেন্ট / ডেটা এন্ট্রি অপারেটরস ৭। ছোট থেকে মাঝারি উদ্যোক্তারা যারা ট্যালি প্রাইম সফটওয়ার তাদের কোম্পানিতে ইমপ্লিমেন্ট ও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮। যে কেউ যে বেসিক একাউন্টিং এবং ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যার শিখতে চায়। ট্যালি প্রাইমের বেসিক থেকে একদম এডভান্স লেভেল পর্যন্ত, বলা যেতে পারে, একদম ট্যালি প্রাইমের উপর একদম কমপ্লিট একাউন্টিং প্যাকেজ হাতে কলমে শিখতে পারবেন অ্যানালিস্ট স্কিলের “Tally Prime for Accounting, Inventory & Payroll” কোর্সটি থেকে। সারমর্ম ট্যালি সলুশনস ইন্ট্যরন্যশনালি রিকগ্নাইজ খুবই পপুলার একটা সফটোয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্ম। এর আগে তাদের পাবলিশ করা ট্যালি ইআরপি একাউন্ট্যান্ট দের মাঝে অনেক পপুলারিটি পেয়েছিল। সেই সফটওয়্যারে মেজর কিছু ফিচার এড করে এখন তারা লঞ্ছ করেছে ট্যালি প্রাইম। এটা আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং প্রোডাকটিভ। ডেটা সিকিউরিটির উপর দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। তবে অন্য সব সফটওয়্যারের মত এটার ও কিছু লিমিটেশনস আছে। তবে সব মিলিয়ে যায় এটা ট্যালি ইআরপি ‘র বেশ ভালো একটা আপগ্রেডেশন।
More detailsPublished - Wed, 17 May 2023
Created by - Analyst Skill
আপনি যদি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকেন কিংবা ডেটা এনালিস্ট হিসেবে নিজের পেশা গড়তে চান তাহলে পাইথন সম্পর্কে ধারণা রাখাটা আপনার জন্য অতীব জরুরি। আজকের এই আর্টিকেলে, পাইথন কী এবং পাইথন দিয়ে কী কী কাজ করা যায় সে সম্পর্কে জানবো। এছাড়াও পাইথন প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাগুলো কী কী সে সম্পর্কেও একটা ছোট্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। তো বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক। পাইথন কী? বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায় কয়েক শতাধিক প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে, তবে তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ভাষা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর stacStack Over Flow ওয়েবসাইটের একটি সার্ভে অনুযায়ী, সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে পাইথন অন্যতম, সারাবিশ্বে এর অবস্থান চতুর্থ। পাইথন (Python) হলো মূলত একটা উচ্চতর General-purpose প্রোগ্রামিং ভাষা। এখানে General Purpose বলতে এর বহুমুখী ব্যবহার যোগ্যতাকে বুঝাচ্ছে। পাইথন শুধু একটি নির্দিষ্ট কোনো কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং এর ব্যবহার বহুমুখী। ইতোমধ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় শতাধিক সেক্টরে, আর কী কী কাজে পাইথন ব্যবহার সম্ভব তা নির্ভর করছে মানুষের সৃজনশীলতার উপরে। পাইথন কেন ব্যবহার করা হয়? পাইথন ব্যবহার করা হয় এর বিশেষ কিছু সুবিধার কারণে। যেমন এটি সহজে ও অল্প সময়ে আয়ত্ত্ব করা যায়, এটির অনেক বেশি Library ও Framework রয়েছে, আরও রয়েছে জটিল এটা এনালাইসিস সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা ইত্যাদি। এছাড়াও অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট, সায়েন্টিস্ট এর মতো নন-প্রোগ্রামাররাও পাইথন ব্যবহার করে খুব সহজে তাদের দরকারি কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে। পাইথন কেন ব্যবহার করা হয় এই প্রশ্নের সবচেয়ে আদর্শ উত্তর হচ্ছে এর বহুমাত্রিক ব্যবহার যোগ্যতা। নিচের অংশে এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো। পাইথন দিয়ে কী কী কাজ করা যায়? বর্তমানে প্রচলিত প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর একটা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তা হলো সেগুলো ব্যবহার করে শুধু গুটিকয়েক কাজ করা যায়, অর্থাৎ সেগুলো তৈরি-ই করা হয়েছিলো নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামিং টাস্ক সলভ করার জন্য। তবে পাইথন গ্রোগ্রামিং ভাষার ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। যেহেতু পাইথন progamming paradigm সাপোর্ট করে সেহেতু এটি দিয়ে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। এজন্য এটাকে general-purpose প্রোগ্রামিং ভাষা বলা হয়। পাইথন দিয়ে করা যায় এমন কতগুলো কাজ হলো: অ্যাপ ও ওয়েবসাইট তৈরি: বর্তমানে প্রোগ্রামারদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পাইথন। এতে Flask, Django ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় Web framework থাকায় অনেক সহজেই পাইথন দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করা যায়। এছাড়া ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অধিকাংশ কাজই (যেমন: সার্ভার ইন্টারকানেক্টিং, ডেটা প্রসেসিং, ডেটাবেস তৈরি, সিকিউরিটি প্রদান ইত্যাদি) পাইথন দিয়ে করার সুযোগ থাকায় ওয়েবসাইট তৈরির জন্যও এটি বেশ জনপ্রিয়। সিস্টেম স্ক্রিপ্টিং ও অটোমেশন: যে কাজগুলো আমাদের নিয়মিত করতে হয় সেগুলো যদি অটোমেশন করা যায় তাহলে অনেক সময় সাশ্রয় হয়ে যায়। আর এই অটোমেশনের জন্য কোড লেখাকে বলা হয় স্ক্রিপ্টিং। অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনায় পাইথন ব্যবহার করে অতি দ্রুত ও অল্প কথায় স্ক্রিপ্ট তৈরি করা যায়। Content downloading, email sending, file converting, error finding ও text correction ইত্যাদির মতো দৈনন্দিন ব্যবহৃত টাস্কগুলোর অটোমেশন তৈরি করতে পাইথন ব্যবহার করা হয়। মেশিন লার্নিং ও এআই: আধুনিক প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে মেশিন লার্নিং ও এআই (Artificial Intelligence) সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কার। ২০২২ সালের শেষের দিকে সারা বিশ্বজুড়ে তোলপার ফেলে দেওয়া AI প্রযুক্তি ChatGPT তৈরির পেছনে মূল প্রোগ্রামিং ভাষা হলো পাইথন। এতে রয়েছে TensorFlow, Kyras, Pytorch এর মতো অসংখ্য লাইব্রেরি, যেগুলো মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপারদের জন্য কাজের বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। ডেটা এনালাইসিস: জটিল সমীকরণ সমধান, ডেটা এনালাইসিস, ডেটা ম্যানুপুলেশন, ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি ইত্যাদি জন্য ডেটা এনালিস্টসহ সংশ্লিষ্ট পেশায় জড়িতদের কাজকে আরও সহজ করে দিয়েছে পাইথন। এটি ব্যবহার করে Bar Graph, Pie Chart, Histogram, 3D Plot সহ অনেক ধরনের ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন তৈরি করা যায়। এমনকি বেশিরভাগ Data Mining ও Data Analytics সফটওয়্যার তৈরি করা হয় পাইথন ব্যবহার করে। সফটওয়্যার প্রোটোটাইপ টেস্টিং: যেকোনো সফটওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে কতগুলো পরীক্ষামূলক কাজের মধ্যে Build control, Bugs tracking and testing অন্যতম। আর এই কাজগুলোকে মূলত Software Prototype Testing বলা হয়। পাইথনে Green ও Requestium এর মতো টুল ব্যবহার করে নতুন কোনো সফটওয়্যার তৈরির কাজ সম্পন্ন করার পূর্বে সহজেই তার প্রোটোটাইপ টেস্টিং করা যায়। পাইথন কেন এত জনপ্রিয়? পাইথনের জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা হয়ে ওঠার পেছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে পাইথনের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা সুবিধার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। সহজবোধ্যতা: পাইথন এর syntax অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনায় অনেক সহজ, ফলে নতুন যেকেউ সহজে ও অল্প সময়ের মধ্যেই এটি আয়ত্ত করতে পারে। বহুমুখী ব্যবহার যোগ্যতা: এটি পাইথনের অন্যতম একটি সুবিধা। পাইথন ব্যবহার করে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান ও প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়। দ্রুত কোডিং সুবিধা: পাইথনে Easy Debugging সুবিধা থাকার কারণে এটি ব্যবহার করে দ্রুত কোড লেখা যায়। ফলে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়। সুবিশাল লাইব্রেরি: পাইথনের আরেকটি সুবিধাজনক দিক হলো এটি একটি ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। অর্থাৎ যেকেউ এটাতে অবদান রাখতে পারে। পাইথনে অনেক বেশি ডকুমেন্টেশন, মডিউল ও সিন্ট্যাক্স গাইড রয়েছে। এছাড়া অনেক বড় বড় প্রোগ্রামার নানা সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেরা অনেক টুল ও কোড তৈরি করে রেখেছেন যাকে Archive of Modules And Libraries বলে। আর এগুলোর সবই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। সুবিশাল কমিউনিটি: পাইথন যেহেতু বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর একটি তাই এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাটাও বড়। এদের মাধ্যমে একটি বিশাল কমিউনিটি তৈরি হয়েছে যেখানে পাইথন শেখার গাইডলাইন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেকেউ কোড লেখার সময় কোনো সমস্যায় আটকে পড়লে কমিউনিটি পোস্টের মাধ্যমে অন্যদের কাছ থেকে অল্প সময়ে তার সমাধান পেতে পারে। Source: taglineinfotech.com পাইথন শিখতে কত দিন সময় লাগে? শুধু পাইথন নয়, যেকোনো প্রোগ্রামিং ভাষা কিংবা দক্ষতা অর্জন করতে আপনার কত দিন সময় লাগবে তার অধিকাংশটাই নির্ভর করে আপনার উপরে। অন্যদের তুলনায় আপনি নিয়মিত কতক্ষণ চর্চা করছেন, কী পরিমাণ এফোর্ট দিচ্ছেন এসবের নির্ভর করে সময় ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে আমি শুধু একটা ধারণা দিতে পারি। আপনি যদি পাইথন নিয়ে বেশ আগ্রহী হন এবং নিয়মিত ভালোমতো চর্চা করেন তাহলে এইটার বেসিক শিখতে মোটামুটি ২-৩ মাস মতো লাগতে পারে। আর পাইথনের ব্যবহার যেহেতু অনেক বেশি বহুমুখী, সেহেতু আপনি কোন উদ্দেশ্যে পাইথন শিখছেন সেটাও এই শেখার সময় নির্ধারকের একটি উপাদান বিবেচিত হবে। বর্তমানে কারা পাইথন ব্যবহার করে? আগেই বলেছি, সারাবিশ্বে কয়েক শতাধিক প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানি ও প্রোগ্রামারের কাছে এগুলোর মধ্যে পাইথন সবচেয়ে জনপ্রিয়। উপরে উল্লিখিত কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা পাইথন ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া Google, Meta, Intel, Nasa, IBM, Netflix, Spotify, JP Morgan Chase ইত্যাদির মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও পাইথনকে তাদের প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে। পাইথন শিখে কীধরণের চাকরি পাওয়া সম্ভব? আসলে এখনকার পৃথিবীতে এসেছে নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতা শিখে কী কী কাজ পাওয়া সম্ভব তা নির্দিষ্ট করে বলা কিছুটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এটা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে দক্ষতা অর্জনকারী ব্যক্তির সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তার উপরে। তবে সংশ্লিষ্ট দক্ষতার সাথে জড়িত এমন কিছু কাজ প্রচলিত থাকে। পাইথনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু পেশা নাম হলো: App & Web Developer Game Developer Software Engineer Ethical Hacker Business Analyst Data Analyst Data Scientists Data Journalist QA Engineer Cloud Architect সারসংক্ষেপ আপনি যদি পাইথন নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং এই ভাষাটি শিখতে চান তাহলে আপনার মধ্যে অবশ্যই এর বেসিক কিছু জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আশা করি, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সেই জ্ঞানের বাধা দূর করতে পেরেছি। এছাড়া পাইথন সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
More detailsPublished - Sun, 07 May 2023
Created by - Analyst Skill
প্রেস্টিজিয়াস সি-স্যুট জব গুলোতে সাধারনত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার কিংবা অফিসারদের খুব বেশি বিবেচনা কর হয়না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের কথা চিন্তা করলে একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রাখাটা খুব গুরুত্বপুর্ন। মুলত তাদের কাজ প্রতিষ্টানে কর্মরতদের দেখভাল করা, কীভাবে ভবিষ্যতে তাদেরকে বেটার করা যায় বা তাদের স্থলে বেটার কাউকে নিয়োগ দেয়া যায় এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা করা এবং তা বাস্তবায়ন করা। শুধুমাত্র কর্মীদের দেখভালের জন্য যখন আপনি কাউকে রাখবেন তখন কর্মীরা আপনার প্রতিষ্টানে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করবে ফলে পুরো প্রতিষ্টানের কর্মশক্তি ও বেড়ে যাবে বলেই ধারনা করা হয়। আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো একজন chief human resources officer (CHRO)’র কাজ কী? এবং একটা ব্যবসায়ে কেন তাকে প্রয়োজন সেই সাথে কীভাবে এই পদের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গরে তোলা যায়। চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার বা CHRO কি? এই CHRO পদটা বিজনেস সার্কিটে একেবারে নতুন একটা কন্সেপ্ট। মুলত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এই পদের অবতারনা করা হয়েছে। এই পদে কর্মরতরা সাধারনত কর্মীদের ব্যপারে নিচের পরিকল্পনা গুলো করে থাকেন। ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন বেতন ভাতা এবং ক্ষতিপুরন সাংগঠনিক কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা নতুন কর্মীবাহিনি নিয়োগ পরিকল্পনা কর্মীদের দিনে দিনে উন্নত করা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একটি কোম্পানিতে কেন একজন CHRO এর প্রয়োজন? CHRO পদে যিনি থাকেন তিনি মুলত স্ট্রাটেজিক লিডার। তিনি ম্যানেজারদের বিভিন্ন বুষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। এককথায় তিনি প্রতিষ্টানে কর্মরত প্রত্যকের কাজ কারবারের জন্য দায়ী থাকেন। এবং CHRO চাইলে নিজ কাজের খাতিরে শেয়ার হোল্ডার, পরিচালক থেকে কোম্পানির আভ্যন্তরীন যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যখন একতা ব্যবসায়ে একজন প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা থাকে তিনি সাধারনত নিচের কাজ গুলো করেন। নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিষদে যারা আছেন তারা বিদায় নিলে পরবর্তীতে কারা দায়িত্ব গ্রহন করবে তার পরিকল্পনা তৈরি করা। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশল ঠিক করা। অবহেলা, অভিযোগ এবং নিয়ম শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখাশুনা করা। মিতব্যায়ীতার নীতি অনুসরন করে কার্যকর পদ্ধতিতে নিয়োগ এবং কর্মী ধরে রাখা। কর্মী সংক্রান্ত আইন-কানুন জানা। কোম্পানির কালচার ঠিক রাখা। প্রতিভা অন্বেষণ, প্রশিক্ষন এবং সঠিক বিনিময় প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরি করা। nt সবশেষ কোম্পানি মিশন এবং ভিশন রিচ করতে সাহায্য করা। একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (CHRO) এর প্রধান দায়িত্বসমূহ কি কি? CHRO পাবলিক কিংবা প্রাইভেট যেকোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। আবার চাইলে ব্যক্তিগত ভাবে এইচআর কন্সাল্টেন্সি ফার্ম ও খুলতে পারেন। মুলত চিকিৎসা ফাইন্যন্স এবং শিক্ষা খাতের বড় কোম্পানি এবং সরকারি প্রতিষ্টানে সাধারনত CHRO নিয়োগ দেওয়া হয়া হয়। এবং আশা করা হয় তারা নিচের দায়িত্ব গুলো পালন করবে: কোম্পানিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা। নিয়োগ, প্রশিক্ষন, প্রমোশন, পুরস্কার ইত্যাদির জন্য নিজস্ব নীতিমালা তৈরি করা। কর্মীদের সম্মতিক্রমে তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং পর্যাপ্ত বেতন ও সুযোগ সুবিধাদি দেওয়া। কর্মচারীদের মঙ্গল, উন্নয়ন, এবং পেশাদারি সাফল্যে নিশ্চিত করা। প্রতিষ্টানের আভ্যন্তরীন যোগাযোগ উন্নত করা। মানব সম্পদে সল্পমেয়াদী না দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কর হবে তা ঠিক করা। কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং সমতা বৃদ্ধি করা। CHRO হতে হলে এর কি কি স্কিলস প্রয়োজন? নিজেকে একজন হিউম্যান রিসোর্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একজন ব্যাক্তির কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি টেকনিক্যাল এবং সফট দুটি বিষয়ের উপরই সমান দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নিচের এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হল। টেকনিক্যাল স্কিলস (Technical Skills) কাউকে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার হতে হলে, তাকে অবশ্যই টেকনিক্যাল স্কিলস এ দক্ষ হতে হবে যা নিম্নে বলা হলঃ একাউন্টিং ও ফাইনান্স (Accounting & Finance) বিজনেস ডেটা ও অ্যানালিটিক্স (Business Data and Analytics) এমপ্লয়মেন্ট ল’ (Employment Law) ইথিকাল বিজনেস প্র্যাকটিস (Ethical Business Practices) গ্লোবাল পরিবেশ ও কালচার সংক্রান্ত সচেতনতা (Global and Cultural Awareness) লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্ট (Leadership and Management) প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট (Project Management) টেকনোলজি (Technology) সফট স্কিলস (Soft Skills) একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসারের টেকনিক্যাল স্কিলস এর পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলোতে সমানভাবে দক্ষ হওয়া প্রয়োজনঃ অ্যানালাইসিস (Analysis) প্রতিটি বিষয়ের উপর যথাযথ মনোযোগ দেয়া (Attention to Detail) কমিউনিকেশন - Communication (Verbal and Written) বিরোধ নিস্পত্তি করা (Conflict Resolution) অরগেনাইজ করা (Organization) প্রবলেম সল্ভিং (Problem-Solving) কিভাবে একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার বা CHRO হওয়া সম্ভব এইচআর ডিপার্টমেন্টে পড়াশুনা না করে ও আরো বিভিন্ন ভাবে এই সেক্টরে চাকরি করা সম্ভব। কিন্তু এই আর্টিকেলে আমরা শুধু প্রথাগত পদ্ধতিগুলো আলোচনা করেছি। এইচ আরে অনার্স বা মাষ্টারস ডিগ্রী অর্জন করা আপনি HRM-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে নথিভুক্তি নিতে পারেন। এইচআরএম-এ পিজিডি অফার করে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এইচআরএম-এ সর্বাধিক চাহিদাপূর্ণ পিজিডি ডিগ্রি বিআইএম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) দ্বারা অফার করা হয়। প্রফেশনাল ডিপ্লোমা আপনি HRM-এ ডিপ্লোমা ডিগ্রী ও নিতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্টান এইচআরএম-এ পিজিডি অফার করে । এইচআরএম-এ বিআইএম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) কতৃক চালু করা পিজিডি ডিগ্রি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য। এছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা HRM-এ PGD অফার করে। আপনি চাইলে নিচের তালিকাটা দেখতে পারেন। এরা সবাই এইচআরএমে ডিপ্লোমা অফার করে: PGDHRM - Post Graduate Diploma in Human Resource Management(BIMS) PGD in Human Resource Management | PGDHRM - ABP (ABP) Admission Going On: Post Graduate Diploma in Human Resources Management (PGDHRM) | United International University (UIU) PGD Human Resource Management PGDHRM - BIHRM: BIHRM supply chain (BIHRM) Bangladesh Institute of Supply Chain Management (BISCM) Post Graduate Diploma in Human Resource Management (PGDHRM) (AIUB) WARD - Post Graduate Diploma in HRM (PGDHRM) accredited by EduQual-UK (WARD Bangladesh) প্রফেশনাল কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা CHRO হিসেবে ক্যারিয়ার সেট করতে চাইলে পেশাগত অভিজ্ঞতা খুবই জরুরি. নিয়োগ কারি, ব্যবস্থাপক কিংবা মুল্যায়নকারী হিসেবে পুর্বের অভিজ্ঞতা এই পদের জন্য সিভিতে ভ্যালু এড করে। তবে কোম্পানিগুলোতে প্রমোশন সাধারনত নিচের হাইয়ারার্কিগুলো ফলো করে করা হয়ে থাকে। HR Assistant / Officer: এটা একটা এন্ট্রি-লেভেল পজিশন এখানে নতুন কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া এবং পুরাতনদের কোম্পানির নীতি এবং পলিসি সম্পর্কে অবহিত করা থাকে মুল দায়িত্ব। HR specialist: যেকোন একটা নির্দিষ্ট ফিল্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যেমন নিয়োগ কিংবা প্রশিক্ষন। HR manager: ম্যনেজারের দায়িত্ব আরেকটু বড় থাকে। এক্ষেত্রে বাজপাখির চোখে দেখতে হয় তাদের কার্যাবলির মাধ্যমে কী প্রতিষ্টানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে। HR Director: ম্যনেজারে উচ্চ পদে যারা আছে যাদের ম্যনেজার চাইলে ও কিছু বলতে পারেনা তাদের তদারকি করা। । অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শুধু এইচআর ফিল্ডে কাজ করতে হবে ব্যপারটা এমন না। মানুষকে ম্যনেজ করতে হয় কিংবা লিড দিতে হয় এমন যেকোন কাজই এইচআর এক্সপেরিয়েন্স নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একজন CHRO হতে হলে নিজের মধ্যে গ্রোথ মাইন্ডসেট এবং সব সময় স্কিলস ডেভেলপ করা প্রয়োজন CHRO পদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে এখনো সব প্রতিষ্টান শুধুমাত্র হিউম্যান রিসোর্স ম্যনেজের জন্য একজন সি ক্যটাগরির ইমপ্লয়ি নিতে ইচ্ছুক না। তাই CHRO হিসেবে কাজ করতে চাইলে লিডারশিপ, ব্যবসায় পরিচালনা এবং কৌশলগত আরো বিভিন্ন কাজে কোম্পানিকে সহয়তা করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থায়ন কিংবা বিজনেস এনালিস্ট সংক্রান্ত কিছু কোর্স বাড়তি সুবিধা দিবে কর্মক্ষেত্রে। একজন CHRO হিসাবে সব সময় একটা গ্রোথের মানসিকতা থাকতে হবে সেই সাথে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানী ভিশন এচিভ করতে পারা সেই সাথে কর্তব্যরত কর্মীরা যেন নিত্য নতুন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এটা নিশ্চিত করতে পারলেই আপনি একজন ভালো CHRO হতে পারবেন। এছাড়া নিচের যোগ্যতা গুলো থাকলে কিছুটা হলে ও এগিয়ে যাবেন। কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা প্রচুর তথ্য জানা কর্মীদের অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা প্রতিভা এবং দক্ষতা শুন্যতা সনাক্ত করতে পারা। একই সময়ে, নতুন জিনিস জানার চেষ্টা করুন এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করুন। এবং সেই সাথে কর্মীদের ও একই জিনিস পরামর্শ দিন। সারমর্ম আমাদের দেশ ইনফ্যাক্ট পুরো বিশ্বে প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা বা CHRO খুব নতুন একটা পদ। এই পদে বেশ সম্ভবনা আছে। তবে জটিলতা ও আছে। আপনি চাইলে প্রথাগত পদ্ধতিতে পড়াশুনা করে এই পদে যেতে পারবেন। তবে প্রথাগত পড়াশুনার বাহিরে অন্য ফিল্ড থেকে ও শিফট করতে পারবেন। তবে যেটা জরুরি সেটা হলো মানুষকে নেতৃত্ব দিতে পারা এবং জাজ করতে পারা।
More detailsPublished - Sat, 06 May 2023
Created by - Analyst Skill
যে অডিটে যেকোন ব্যবসায়ের ফাইন্যান্সিয়াল রেকর্ডগুলোকে একটা স্ট্রাকচার্ড ওয়েতে অনুসন্ধান করে জালিয়াতি খুজে বের করার চেষ্টা করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে কোর্টে উথাপনের জন্য প্রমানপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করা হয় তাকে ফরেনসিক অডিট বলে। এটা কোম্পানির আভ্যন্তরীন অডিট থেকে কিছুটা ভিন্ন। এবং যে ব্যক্তি এই অডিট করে তাকে একাউন্টিং এবং অডিটিং এর বাইরে ও দেশে প্রচলিত ব্যবসা এবং অর্থ সংক্রান্ত আইন-কানুনের ব্যপারে এক্সপার্ট হতে হয়। ফরেনসিক অডিট করার কারণগুলো সাধারণত কি কি? নিচে উল্লেখ করা কারনগুলোর ফলে যেকোন ব্যবসায়ের ফরেনসিক অডিট বাধ্যতামুলক হতে পারেঃ Conflict of Interest (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) ব্যবসায়ের একটা নীতি ব্যক্তি স্বার্থের আগে প্রাতিষ্টানিক স্বার্থ প্রাধান্য পাবে। কিন্তু প্রতিষ্টানে কর্মরত কেউ যখন নিজ পদের প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে এবং এর ফলে প্রতিষ্টান কোন ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখন ফরেনসিক অডিটের বিষয়টা সামনে আসে। যেমন, একজন ম্যানেজার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে কোন কর্মচারীকে অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন কিংবা কিছু অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে। যদিও এই ক্ষেত্রে ওই ম্যানেজার ব্যক্তিগত ভাবে ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট পাচ্ছেনা কিন্তু সে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুবিধা নিচ্ছে। Bribe (ঘুষ) আসলে ঘুষ কাকে বলে সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা একটু কষ্টকর। কারন আপনারা সবাই ইতিমধ্যে জানেন, প্রাতিষ্টানিক পর্যায়ে যখন কোন সিদ্ধান্ত দামি গিফট কিংবা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তখন তাকে ঘুষ বলে। ধরেন, আপনার ক্রয় বিভাগ একাধিক ভালো অফারিং থাকা স্বত্বে ও সব বাদ দিয়ে মিঃ এক্স কে অর্ডার দিলো। কারন মিঃ এক্স ক্রয় বিভাগের ম্যানেজারকে একটা দামী ঘড়ি গিফট করেছে। এটাকে কী ঘুষ বলবেন না অন্য কিছু? Misappropriation of Assets এটা আসলে সবচেয়ে কমন সমস্যাগুলোর একটা। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় কর্মচারীরা ব্যবসায়ের যেকোন হিসাবনিকাশকে একটু এদিক সেদিক করে নিজে বেনিফিট নিচ্ছেন। একটু বুঝিয়ে বলি ধরেন মিঃ এক্স নিজ কোম্পানির জন্য স্টেশনারি ক্রয়ের দায়িত্ব পেলেন। তিনি কিনলেন ১০০০০ টাকার কিন্তু বিলে দেখালেন ১২০০০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির বিল ব্যবহার করে তিনি অতিরিক্ত ২০০০ টাকা আদায় করে নিলেন এটাই আসলে মিস এপ্রোপ্রিয়েশন অব এসেট। Misrepresentation of Financial Statement (আর্থিক বিবরনীর ভুল উপস্থাপন) এই ধরনের প্রতরনা হয় কোম্পানির উচ্চপর্যায়ে। এখানে আসলে কোম্পানির আসল অবস্থাকে লুকিয়ে একটু বেটার সিচুয়েশন দেখানো হয় যাতে ইনভেস্টরেরা ইনভেস্ট করতে বেশি আগ্রহী হন। কিংবা খুব সহজেই ব্যংক কিংবা অন্যন্যরা লোন দিয়ে দেয়। এছাড়া টপ ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ের পারফরম্যন্সের উপর বোনাস পায়। তাই যদি অতিরিক্ত মুনাফা বা এমন সিচুয়েশন দেখানো হয় তাদের বোনাসের পরিমান বেড়ে যায়। উদাহারনস্বরূপ আপনারা কুরিন সঞ্চিতির কথা ভাবতে পারেন। বাস্তবে সঞ্চিতি দেখানো দরকার ছিলো ২ লাখ দেখালেন ৫০০০০ অর্থাৎ মুনাফা দেড় লাখ বেশি দেখানো হলো। Other Situations (অন্যন্য) আসলে ঝুকিপুর্ন যেকোন পরিস্থিতিতে ফরেনসিক অডিট হতে পারে। মুলত একটা জায়গায় প্রতরনা হওয়ার সম্ভবনা কত বেশি তার উপর ভিত্তি করে এই অডিট করা হয়। যখন কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে কেউ অভিযোগ করে কিংবা তারা নিজেরাই মার্জার বা একুইজিশন প্রসেসে যায় তখন এই ধরনের ফরেনসিক অডিট বেশি হয়। অডিটে প্রাপ্ত প্রমানাদি আদালতে উথাপন করা হয়। ধরেন, একট নির্দিষ্ট প্যাটেন্টের জন্য দুইটা কোম্পানির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা গেলো। এবং তারা অভিযোগ নিয়ে আদালতে গেলো এই ক্ষেত্রে ফরেনসিক অডিটের মাধ্যমে জাজ বুঝতে পারবেন এই উদ্ভাবনে কাদের অবদান বেশি। রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে কে বেশি খরচ করেছে। এবং আসলে কোন পক্ষের ক্ষতিপুরন পাওয়া উচিত। দুটি কোম্পানির মধ্যে যখন একুইজিশন বা মার্জ হয় অথবা তারা যখন শেয়ার বাজারে শেয়ার ছাড়ে তখন ফরেনসিক অডিট দরকার হয়। এক্ষেত্রে তারা একটা স্বাধীন অডিট ফার্মের সাথে চুক্তি করে। এবং তারাই প্রয়োজনীয় ফরেনসিকের কাজ কারবার করে। ফরেনসিক অডিট করার স্টেপসগুলো কি কি? ফরেনসিক অডিটের চারটা ধাপ আছে: 1. Planning the Investigation (তদন্ত পরিকল্পনা) ফরেনসিক অডিটর টিম শুরুতেই পুরো অডিটের জন্য একটা পরিকল্পনা সাজায়। সেই সাথে তারা ঠিক করে নেয় এই ফরেনসিক করার ক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্য হতে পারেঃ প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা তা শনাক্ত করা প্রতরনা কখন করা হয়েছে ? প্রতারণার কারণ কী? জালিয়াতির সাথে জড়িত কারা? জালিয়াতির ফলে আর্থিক বা অনার্থিক কী কী ক্ষতি হয়েছে? আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রমান সংগ্রহ। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতারণা প্রতিরোধে পরামর্শ 2. Collecting Evidence (প্রমান সংগ্রহ) প্রমান পত্র সংগ্রহ করা ফরেনসিকের খুবই গুরুত্বপুর্ন কাজ। মুলত জালিয়াতি নিশ্চিত হওয়ার পর ফরেনিওসিক অডিটর টিম জালিয়াতির বিপক্ষে যথেষ্ট পরিমান তথ্য প্রমান সংগ্রহের চেষ্টা করে। কোন ধরনের ডকুমেন্ট আদালতে গৃহীত হবে সেটা ও বিবেচ্য বিষয়। ধরেন কাচামাল সংগ্রহের জন্য একজন ভেন্ডরকে অর্ডার দেওয়া হলো। কিন্তু মনে হচ্ছে এই অর্ডারে কিছু গড়মিল আছে। হতে পারে কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে অডিটর নিচের বিষয় গুলো নিরীক্ষা করবে। এই বিক্রেতাকে কে অনুমোদন করেছেন? অর্ডার নিশ্চিত করার সময় কোম্পানির পলিসি কী ফলো করা হয়েছে? অন্যন্য ভেন্ডরদের কাছ থেকে কোটেশন নেওয়া হয়েছে যদি নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে কী আদোউ সেগুলো দাম এবং কোয়ালীটি অনুযায়ী মুল্যায়িত হয়েছে? অর্ডার চুড়ান্ত করার পর ভেন্ডর কী এস পার কন্ট্র্যাক্ট কোয়ালিটি মেইনটেইন করেছে? 3. Reporting (রিপোর্টিং) উপরের ধাপগুলো শেষ করার একজন ফরেনসিক অডিটর পুরো অডিটের সামারি আকারে একটা রিপোর্ট করবেন। এবং সেটা প্রেজেন্ট করবেন ম্যানেজমেন্ট কিংবা ক্লায়েন্টের কাছে। এই রিপোর্টে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো থাকতে পারে। নিরীক্ষা চলাকালীন পর্যবেক্ষণ/অনুসন্ধান। জালিয়াতি প্রমানে যেসব প্রমানপত্র পাওয়া গিয়েছে। কোম্পানির কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। কিভাবে জালিয়াতি হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, ব্যবস্থাপনা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিবে তারা কী আদৌ আইনী প্রক্রিয়ায় যাবে নাকি বিষয়টা এখানেই শেষ করবে। 4. Court Proceedings (আদালতের কাজ) ধরে নিলাম অডিতে খুব ভালো ভাবে জালিয়াতির প্রমান পাওয়া গিয়েছে এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদ ফরেনসিক অডিট রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে, কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে এবং প্রমাণগুলি কীভাবে এই জালিয়াতি প্রমান করে তা ব্যাখ্যা করার জন্য অডিটরকেও আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। এক কথায় সেখানে ফরেনসিক অডিটর হিসাব নিকাশের জালিয়াতিকে মানুষের সামনে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরবে। Forensic Audit vs. Internal Audit( আভ্যন্তরীণ অডিট বনাম ফরেনসিক) Forensic Audit Internal Audit ১. ফরেনসিক অডিট করা হয় কোম্পানির মধ্যকার জালিয়াতি খুজে বের করার জন্য। ১. কোম্পানীর একাউন্টিং পলিসিতে কোন নীতির ব্যাত্যায় আছে কিনা তা খুজে বের করার চেষ্টা করা হয়। 2. ফরেনসিক অডিটরদের আইন কানুন সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা থাকতে হবে। 2. আভ্যন্তরীন অডিটরের জন্য আইন সংক্রান্ত গয়ান থাকা জরুরী না। 3. আইনী কাজকারবারে ফরেনসিক অডিট ব্যবহার হতে পারে। 3. আভ্যন্তরীন অডিটের তথ্য প্রমান আদালতে গ্রহনযোগ্য নয়। 4.ফরেনসিক অডিট বাধ্যতামুলক যখন এটা প্রতীয়মান হয় যে কোন একজন কর্মী নিজের স্বার্থে কোম্পানিতে কোন একটা জালিয়াতি করেছে। 4. অডিট নিয়মিত ভাবেই করা হয় যে কোম্পানির একাউন্টিং পলিসি কিংবা স্ট্যান্ডারডে কোন ভুল আছে কিনা তা দেখতে। সারমর্ম (Conclusion) ফরেনসিক অডিট দরকার হয় প্রতরনা বা ডকুমেন্ট মিসপ্রেজেন্টেশনের মত বিশেষ অপরাধ গুলো খুজে বের করার জন্য। এখানে অতীতের বিভিন্ন ট্রানজেকশন এবং ডেটা এনালাইসিস করে জালিয়াতি প্রমানের স্বপক্ষে প্রমান খুজে বের করার চেষ্টা করা হয়। অন্যদিকে আভ্যন্তরীন অডিট কোম্পানির স্বাভাবিক কার্যক্রম। এখানে চেষ্টা করা হয় কোম্পানির কোন একাউন্টিং পলিসিতে ভুল আছে কিনা কিংবা সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে চলছে কিনা তা তদারকি করার জন্য।
More detailsPublished - Sat, 06 May 2023
Created by - Analyst Skill
একাউন্টিং শব্দটা মাথায় আসলে একটা সময় ছিল যখন আমরা ম্যানুয়াল খাতা বই এর কথা চিন্তা করতাম। কিন্তু এখন সে যুগ পাল্টেছে। একাউন্টিং হয়েছে সম্পুর্ন সফটওয়্যার বেইজড। ট্যালি প্রাইম ও ঠিক সেরকমই একটি সফটওয়্যার যেটি ডেভেলপ করেছে ট্যালি সল্যুশনস; যারা বিশ্বব্যাপী বিজনেস ম্যনেজমেন্ট রিলেটেড সফটওয়্যার ডেভেলপ করার জন্য সুপরিচিত। ট্যালি প্রাইম ডিজাইন করার মুল উদ্দেশ্য বড় কিংবা ছোট সব ধরনের ব্যবসায়ের একাউন্টিং এবং ফাইন্যন্স রিলেটেড কার্যক্রমকে আরো একটু সহজতর করা। ট্যালি প্রাইম টুলস ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি ব্যবসায়ের মোটামুটি সবরকম ফাইন্যন্সিয়াল ট্র্যঞ্জেকশন ম্যানেজ করা, রিপোর্ট জেনারেট করা বা রেকর্ড মেইন্টেইন করার মত কাজইকরে ফেলতে পারবেন পারবেন একটা সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে । এছাড়া এই টুলস দিয়ে আপনি ইনভয়েস জেনারেট করা, ইনভেন্টরি ম্যনেজ করা, ব্যংকিং ট্যাক্সেশন কিংবা পে রোল ম্যানেজিং এর মত ডিফিকাল্ট কাজ কারবার ও করে ফেওতে পারবেন। আর সবচেয়ে মজার বিষয় ট্যালি প্রাইমের ইউজার ইন্টারফেস। এটা এত বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি যে কম এক্সপার্ট মানুষ জন ও খুব সহজেই এখানে ডেটা এন্ট্রি করতে পারবে। ওহহ আচ্ছা! ট্যালি প্রাইম কিন্তু রিজিওন ওয়াইজ একাধিক ভাষায় ব্যবহারের সুযোগ আছে। তাই বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষের কাজ অন্য প্রান্তের বসে করে ফেলতে পারবেন ট্যালি প্রাইম ব্যবহার করে। ট্যালি প্রাইম কি কি কাজ করে থাকে? (What does Tally Prime do?) এক কথায় বলতে গেলে ট্যালি প্রাইম একাউন্টিং জগতে খুবই শক্তিশালী একটা সফটওয়্যার। যেটা ফাইন্সিয়াল ম্যনেজমেন্টে বং রিপোর্টিং এর কাজে ছোট বড় যেকোন ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্টাব ব্যবহার করতে পারবে। ইনফ্যক্ট ব্যবহার করা সহজ হওয়াই এটা অন্যন্য সফটওয়্যার গুলো থেকে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ। ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় কন্সার্ন ডেটা সিকিউরিটি। সিকিউরিটি ম্যনেজ করতে গিয়ে রুলস রেগুলেশন ম্যনেজ করা অনেক সময় ডিফিকাল্ট হিয়ে যায়। ট্যালি প্রাইম এই সমস্যার সমাধান হিসেবে একটা বিশেষ সিকিউরিটি সিস্টেম অফার করে যেখানে কোন ধরনের রুলস রেগুলেশন ব্রেক করেনা প্লাস ডেটা ও থাকে সিকিউর। এটা ব্যবহারকারীকে ব্যলেন্স শীত, প্রফিট এন্ড লস স্টেটমেন্ট এবং ক্যশ ফ্লো স্টেটমেন্টের ডিটেইলস স্টেমেন্ট জেনারেট করতে সহয়তা করে। আর এই রিপোর্ট ব্যবহার করে আপনি ব্যবসায়ের যেকোন মেজর স্টারাটেজিক ডিসিশন নিতে পারবেন। ট্যালি প্রাইমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এটা নিজের মত করে কাস্টমাইজ করা যায়। ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারী নিজের মত করে ইন্টারফেইজ সাজিয়ে নেয়। যে কাজে একটা বাড়তি গতি নিয়ে আসে। আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে এই সফটওয়্যার একসেস করতে পারবেন। প্লাস রিয়েল টাইম একই একাউন্টে একাধিক ব্যবহারকারী বসে কাজ করতে পারবেন। ফলে টিম ওয়ার্ক আরো অনেক বেশি সহজ হয়। যেহেতু ট্যালি বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানিতেই ব্যবহার করা হয়, সেহেতু ট্যালির উপর আপনার এক্সপার্টিজ থাকা জরুরী যদি আপনি একাউন্টস বা ফাইনান্স সেক্টরে চাকরি করে থাকেন। ট্যালি প্রাইমের বেসিক থেকে একদম এডভান্স লেভেল পর্যন্ত, বলা যেতে পারে, একদম ট্যালি প্রাইমের উপর একদম কমপ্লিট একাউন্টিং প্যাকেজ হাতে কলমে শিখতে পারবেন অ্যানালিস্ট স্কিলের “Tally Prime for Accounting, Inventory & Payroll” কোর্সটি থেকে। ট্যালি প্রাইম এবং ট্যালির মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Tally ERP 9.0 and Tally Prime) ট্যালি সলুশনস এর আগে ট্যালি সফটওয়্যার ডেভেলপ করেছিল একাউন্টিং কে সহজ করার জন্য। ট্যালি ওয়ার্ল্ড ওয়াইজ বেশ পপুলার জলে ও তাদের ইউআই নিয়ে বেশ কিছু ঝামেলা ছিলো। তাই এবারে তারা পুরো প্রক্রিয়া এরেকটু সহজ করার জন্য মেজর কিছু আপগ্রেডেশন এনে লঞ্ছ করেছে ট্যালি প্রাইম। কিছু বেসিক পার্থক্য আমরা নিচের ছকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। No. Difference Tally ERP 9 Tally Prime 1 কোম্পানি ডেটা একসেস আলাদা করে কোম্পানির ডেটা ফোল্ডার পাথ ব্যবহার করতে হতো। ফোল্ডার পাথের পাশাপাশি এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে সিলেক্ট ফ্রম ড্রাইভ অপশন। যা সরাসরি ডেটা একসেস কে সহজ করেছে। 2 মাল্টি টাস্কিং মাল্টি টাস্কিং এর জন্য একাধিক উইন্ড ওপেন করতে হতো। কিন্তু এখন একটা সিঙ্গেল উইন্ডো ওপেন করেই করা যাবে মাল্টি টাস্কিং। 3 ভাউচার মুড সুইচিং ফাঙ্কশন কি ব্যবহার করে ভাউচার মুডে সুইচ করতে হতো যেটা ছিলো অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড প্রসেস। চেঞ্জ মুড নামের নতুন ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভাউচার মুডে শিফট করা যায়। 4 পেপার ওপটিমাইজিং ডেটার পরিমান যত বাড়তো। নতুন নতুন পেইজের ব্যবহার বাড়তো। যা প্রিন্ট করতে গেলে দরকার পড়তো অতিরিক্ত কাগজের। প্রিন্টিং অপটিমাইজ করলে ডেটা মার্জ করে কম কাগজেই প্রিন্ট করা যায়। 5 এডিটিং ভাউচার ডিটেইলস একটা সিঙ্গেল এন্ট্রি আপডেট করতে হলে তার ধারাবাহিকতায় আরো অনেক ডেটা আপগ্রেড করতে হয়। সরাসরি যেকোন ডেটা একসেস করে তা এডিট করা যায়। ফলশ্রুতিতে রিলেটেড অন্যন্য ডেটা অটোমেটিক আপডেট হবে। 6 ই-ইনভয়েসিং এবং ই-বিল জেনারশন ই-ইনভয়েস বা ই- বা বিল জেনারেট করার বিল্ট কোন অপশন ছিলনা। ই-ইনভয়েস এবং ই-বিল জেনারেট করার ফিচার বিল্ট ইন দেওয়া আছে। 7 সাপ্লিমেন্টারি ডিটেইলস ডিটেইলস খুজে বের করতে হলে প্রত্যেকটা লেজার খুজতে হতো। পার্মানেন্ট ডিটেইলস এবং সাপ্লিমেন্টারি ডিটেইলস আলাদা করে রাখা যায়। ট্যালি প্রাইমের সফটওয়্যারের প্রধান ফিচারসগুলো কি কি (Main Features of Tally Prime) ইতিমধ্যেই আমরা একাধিক বার বলেছি ট্যালি থেকে ট্যালি প্রাইম অনেক বেশি আপগ্রেডেড। এখানে অনেক বেশি দ্রুত এবং ইফেকটিভ ভাবে করা যায়। এখন প্রশ্ন আসতে ট্যালি প্রাইমের এক্স্যাক্ট মেইন ফিচারস গুলো কি? সিম্পল ও আকর্ষণীয় ইউজার ইন্টারফেস (Simplified User Interface): অন্য আর দশটা একাউন্টিং সফটোয়্যার থেকে ট্যালি প্রাইম আলাদা কারন এটার ইউজার ইন্টার ফেস। এটা বেত বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলিযে খুব সহজেই যে কেউ এটা আয়ত্ত করে নিতে পারবে। ফলে পুরো কাজ করার প্রসেস টা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মুথ এবং ফাস্ট হয়ে গিয়েছে। মাল্টিটাস্কিং কাজ করা সুবিধা (Multitasking Capabilities): ট্যালি প্রাইমের একটা ইম্পরট্যান্ট ফিচার মাল্টি টাস্কিং। এর মাধ্যমে এক সাথে একাধিক কাজ করতে পারবেন। একই সাথে একের অধিক রিপোর্ট, ভাউচার দেখতে পারবেন একই স্ক্রিনে কিংবা একাধিক স্ক্রিনে। সেই সাথে একের অধিক ডেটা ও এন্ট্রি করতে পারবেন একই সাথে একাধিক স্ক্রিনে। দ্রুত সার্চ করা (Quick Search): ট্যালি প্রাইমে সার্চ দেওয়ার ও এক বিশেষ সুবিধা আনা হয়েছে। যেকোন ডেটা তারিখ কিংবা ইভেন্টের নাম বা ক্লায়েন্টের নাম দিয়ে সার্চ করে খুজে বের করতে পারবেন। উন্নত রিপোর্টিং (Enhanced Reporting): ট্যালি প্রাইম আসলে যে জায়গায় অন্য সব সফটওয়্যার থেকে আলাদা সেটা হলো এর কাস্টমাইজেশন। আপনি একটা সিঙ্গেল স্টেট্মেন্টকে নিজের সুবিধা মত কাস্টমাইজ করে দেখতে পারবেন । এর ফলে নিত্য নতুন ইন্সাইট পাওয়া যায়। Tতাই ব্যবসায় সংক্রান্ত ডিসিশন মেকিং ও অনেক বেশি সহজতর হয়ে যায়। রিমোট এক্সেস এবং কলাবোরেশন (Remote Access and Collaboration): আপনার সাথে যদি একটা ইলেক্ট্রিক ডিভাইস থাকে সেই সাথে থাকে ইন্টারনেট। আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে আপনার ট্যালিপ্রাইম একাউন্ট একসেস করতে পারবেন। এবং যেকোন কাজ ও করতে পারবেন। ফলে একাউন্ট্যন্ট দের জন্য রিমোট জব করা বা নো ম্যাড লাইফ লিড করা অনেক বেশি সহজ জয়ে গিয়েছে। ডেটা সিকিউরিটি (Data Security): এর আগে যে ট্যালি অরিজিনাল ভার্সন ছিল তার চেয়ে ট্যালি প্রাইমের সিকিউরিটি অনেক বেশি উন্নত। নতুন দুনিয়াই সবাই নিজস্ব প্রাইভেসি নিয়ে কন্সার্ন। তাই ট্যালি প্রাইম ও চেষ্টা করেছে ডেটাকে অনেকবেশি সিকিউর করার। ডেটা সিকিউর করতে গেলে আবার কিছু রুলস রেগুলেশনের বাধা থাকে। ট্যালি প্রাইমের সিকিউরিটি এমনভাবে ডেভেলপড যেন এটা কোন রুলস রেগুলেশন ব্রেক না করে। কাস্টমাইজেশন (Customization): প্রত্যেকটা ব্যবসায়ের চাহিদা আলাদা। তাই তাদের একাউন্টিং বুকের ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকে। এই সব বিষয় মাথায় রেখে ট্যালি সলুশন্স তাদের নতুন ট্যালি প্রাইমে কাস্টমাইজেশনের অপশন রেখেছে। ব্যবহারকারী চাইলেই নিজের মত করে এই সফটওয়্যার সাজিয়ে নিতে পারবে। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (Inventory Management): ট্যালি প্রাইমে একাউন্টিং সফটওয়্যার হলে ও এখানে চাইলেই আপনি আপনার ব্যবসায়ের ইনভেন্টরি ম্যনেজমেন্টের যাবতীয় হিসাব নিকাশ করতে পারবেন। এবং এখানকার ডেটা অন্যন্য ফাইন্যসিয়াল স্টেটমেন্টের সাথে ইন্টিগ্রেট ও করা যায়। ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স (Tax Compliance): ট্যালি প্রাইমের বিল্ট ইন ফিচারের মাধ্যমে আপনার ট্যক্স এবং ভ্যাট অনেক বেশি একুরেটলি ক্যলকুলেট করা যাবে। প্লাস একাউন্টিং ও হবে ট্যক্স এবং ভ্যাটের নিয়ম নীতি মেনে। ব্যাংকিং এবং রিকন্সিলিয়েশন (Banking and Reconciliation): ট্যালি প্রাইমের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসায়ের যাবতীয় ব্যংকিং কার্যক্রম অটোমেটেড করে ফেলতে পারবেন। চেক প্রিন্ট করা কিংবা ফান্ড ট্রান্সাফারের মত কাজ করা যাবে এক ক্লিকেই। তাই ফাইন্যন্সিয়াল ট্রান্সেকশনে সময় লাগবে আগের চেয়ে কম। উপরে উল্লেখিত ফিচার গুলো হলো ট্যালি প্রাইমের বেসিক কিছু ফিচার এর বাইরে আরো অনেক ছোট খাট ডিটেইলস এড করা হয়েছে নতুন ট্যালি প্রাইমে। সেই সাথে ইউজারদের কথা মাথায় রেখে এটাকে দিনকে দিন আপগ্রেড করা হচ্ছে। তাই ধরেই নেওয়া যায় আরো অনেক ফিচার সামনে আসবে। ট্যালি প্রাইমের কিছু অসুবিধা (Few Drawbacks of Tally Prime) অন্য সব সফটোয়্যারের মত ট্যালি প্রাইমের ও কিছু অসুবিধা আছে: ট্যালি প্রাইমের সার্ভার সরাসরি ম্যাক ওএস সাপোর্ট করেনা। যদি সাপোর্ট করাতে হয় তার খরচ অনেক বেশি। ট্যালি প্রাইমের কিছু গ্র্যাফিকাল কাজ কারবার হয়তো আরো অনেক বেশি ভালো হতে পারতো। কোথায় থেকে শিখবো ট্যালি প্রাইম? যেহেতু আমাদের দেশের এক কোম্পানিই ট্যালি ব্যাবহার করছে, সেক্ষেত্রে ট্যালি সম্পর্কে জানে, এমন লোকদের মার্কেটে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফ্রেশার হিসেবে নতুন চাকরির জন্য বা অভিজ্ঞ হিসেবে চাকরি পরিবর্তনের জন্য এই ট্যালি প্রাইম এর স্কিল আপনার ক্যারিয়ারকে করতে পারে আরও সমৃদ্ধ। তাছাড়া একটি ইআরপি সফটওয়্যারে এক্সপার্ট হওয়া মানে আপনার বেতন বৃদ্ধির একটি ব্যাপার তো আছেই। কোর্সটিতে এনরোল করতে ক্লিক করুন এই লিংকে। আমাদের ট্যালি প্রাইম কোর্সটি সবার জন্য উন্মুক্ত। তারপরেও যদি স্পেসিফিক গ্রুপকে টার্গেট করা হয়, তাহলে নিচের লিস্টের সবার জন্যই এই কোর্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ১। একাউন্টিং / ফাইন্যান্স গ্রাজুয়েট যারা চাকরির প্রস্ততির নিচ্ছে। ফ্রেশার হিসেবে চাকরি পেতে ট্যালি প্রাইম কী-ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। ২। কমার্স বা যেকোন বিষয়ের ফ্রেশ গ্রাজুয়েট যারা কোম্পানিতে একাউন্ডস/ ফাইন্যান্স / ইনভেন্টরি / সাপ্লাই চেইন ইত্যাদি সেকশনে কাজ করতে চায়। ৩। সিএ সিসি করছে বা শেষ অথবা সিএমএ / এসিসিএ ইত্যাদি প্রফেশনাল ডিগ্রীতে অধ্যয়ন করছে, তারা ট্যালি প্রাইম শিখে স্কিল ডেভেলপ করে চাকরির বাজারে নিজেদের এগিয়ে রাখতে পারে। ৪। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির একাউন্ডস/ ফাইন্যান্স / ইনভেন্টরি ইত্যাদি সেকশনে কাজ করছে, কিন্তু ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যারে সরাসরি কাজ বা ব্যবহার করেনি। ৫। এমন ব্যক্তিরা যাদের ট্যালি ইআরপি সম্পর্কে জানা / ধারণা আছে, কিন্তু কোম্পানি ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যারে শিফট করেছে বা ট্যালির আরও এডভ্যান্সড ব্যবহার শেখার জন্য। ৬। যেকোন একাউন্টেন্ট / ডেটা এন্ট্রি অপারেটরস ৭। ছোট থেকে মাঝারি উদ্যোক্তারা যারা ট্যালি প্রাইম সফটওয়ার তাদের কোম্পানিতে ইমপ্লিমেন্ট ও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮। যে কেউ যে বেসিক একাউন্টিং এবং ট্যালি প্রাইম সফটওয়্যার শিখতে চায়। ট্যালি প্রাইমের বেসিক থেকে একদম এডভান্স লেভেল পর্যন্ত, বলা যেতে পারে, একদম ট্যালি প্রাইমের উপর একদম কমপ্লিট একাউন্টিং প্যাকেজ হাতে কলমে শিখতে পারবেন অ্যানালিস্ট স্কিলের “Tally Prime for Accounting, Inventory & Payroll” কোর্সটি থেকে। সারমর্ম ট্যালি সলুশনস ইন্ট্যরন্যশনালি রিকগ্নাইজ খুবই পপুলার একটা সফটোয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্ম। এর আগে তাদের পাবলিশ করা ট্যালি ইআরপি একাউন্ট্যান্ট দের মাঝে অনেক পপুলারিটি পেয়েছিল। সেই সফটওয়্যারে মেজর কিছু ফিচার এড করে এখন তারা লঞ্ছ করেছে ট্যালি প্রাইম। এটা আগের চেয়ে অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং প্রোডাকটিভ। ডেটা সিকিউরিটির উপর দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। তবে অন্য সব সফটওয়্যারের মত এটার ও কিছু লিমিটেশনস আছে। তবে সব মিলিয়ে যায় এটা ট্যালি ইআরপি ‘র বেশ ভালো একটা আপগ্রেডেশন।
More detailsPublished - Wed, 17 May 2023
Created by - Analyst Skill
প্রেস্টিজিয়াস সি-স্যুট জব গুলোতে সাধারনত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার কিংবা অফিসারদের খুব বেশি বিবেচনা কর হয়না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের কথা চিন্তা করলে একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রাখাটা খুব গুরুত্বপুর্ন। মুলত তাদের কাজ প্রতিষ্টানে কর্মরতদের দেখভাল করা, কীভাবে ভবিষ্যতে তাদেরকে বেটার করা যায় বা তাদের স্থলে বেটার কাউকে নিয়োগ দেয়া যায় এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা করা এবং তা বাস্তবায়ন করা। শুধুমাত্র কর্মীদের দেখভালের জন্য যখন আপনি কাউকে রাখবেন তখন কর্মীরা আপনার প্রতিষ্টানে কাজ করতে আগ্রহ বোধ করবে ফলে পুরো প্রতিষ্টানের কর্মশক্তি ও বেড়ে যাবে বলেই ধারনা করা হয়। আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করবো একজন chief human resources officer (CHRO)’র কাজ কী? এবং একটা ব্যবসায়ে কেন তাকে প্রয়োজন সেই সাথে কীভাবে এই পদের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গরে তোলা যায়। চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার বা CHRO কি? এই CHRO পদটা বিজনেস সার্কিটে একেবারে নতুন একটা কন্সেপ্ট। মুলত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব উপলব্ধি করেই এই পদের অবতারনা করা হয়েছে। এই পদে কর্মরতরা সাধারনত কর্মীদের ব্যপারে নিচের পরিকল্পনা গুলো করে থাকেন। ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন বেতন ভাতা এবং ক্ষতিপুরন সাংগঠনিক কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা নতুন কর্মীবাহিনি নিয়োগ পরিকল্পনা কর্মীদের দিনে দিনে উন্নত করা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন একটি কোম্পানিতে কেন একজন CHRO এর প্রয়োজন? CHRO পদে যিনি থাকেন তিনি মুলত স্ট্রাটেজিক লিডার। তিনি ম্যানেজারদের বিভিন্ন বুষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। এককথায় তিনি প্রতিষ্টানে কর্মরত প্রত্যকের কাজ কারবারের জন্য দায়ী থাকেন। এবং CHRO চাইলে নিজ কাজের খাতিরে শেয়ার হোল্ডার, পরিচালক থেকে কোম্পানির আভ্যন্তরীন যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যখন একতা ব্যবসায়ে একজন প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা থাকে তিনি সাধারনত নিচের কাজ গুলো করেন। নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিষদে যারা আছেন তারা বিদায় নিলে পরবর্তীতে কারা দায়িত্ব গ্রহন করবে তার পরিকল্পনা তৈরি করা। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশল ঠিক করা। অবহেলা, অভিযোগ এবং নিয়ম শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখাশুনা করা। মিতব্যায়ীতার নীতি অনুসরন করে কার্যকর পদ্ধতিতে নিয়োগ এবং কর্মী ধরে রাখা। কর্মী সংক্রান্ত আইন-কানুন জানা। কোম্পানির কালচার ঠিক রাখা। প্রতিভা অন্বেষণ, প্রশিক্ষন এবং সঠিক বিনিময় প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরি করা। nt সবশেষ কোম্পানি মিশন এবং ভিশন রিচ করতে সাহায্য করা। একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (CHRO) এর প্রধান দায়িত্বসমূহ কি কি? CHRO পাবলিক কিংবা প্রাইভেট যেকোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। আবার চাইলে ব্যক্তিগত ভাবে এইচআর কন্সাল্টেন্সি ফার্ম ও খুলতে পারেন। মুলত চিকিৎসা ফাইন্যন্স এবং শিক্ষা খাতের বড় কোম্পানি এবং সরকারি প্রতিষ্টানে সাধারনত CHRO নিয়োগ দেওয়া হয়া হয়। এবং আশা করা হয় তারা নিচের দায়িত্ব গুলো পালন করবে: কোম্পানিতে যাবতীয় পরিবর্তন পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা। নিয়োগ, প্রশিক্ষন, প্রমোশন, পুরস্কার ইত্যাদির জন্য নিজস্ব নীতিমালা তৈরি করা। কর্মীদের সম্মতিক্রমে তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং পর্যাপ্ত বেতন ও সুযোগ সুবিধাদি দেওয়া। কর্মচারীদের মঙ্গল, উন্নয়ন, এবং পেশাদারি সাফল্যে নিশ্চিত করা। প্রতিষ্টানের আভ্যন্তরীন যোগাযোগ উন্নত করা। মানব সম্পদে সল্পমেয়াদী না দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কর হবে তা ঠিক করা। কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং সমতা বৃদ্ধি করা। CHRO হতে হলে এর কি কি স্কিলস প্রয়োজন? নিজেকে একজন হিউম্যান রিসোর্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একজন ব্যাক্তির কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি টেকনিক্যাল এবং সফট দুটি বিষয়ের উপরই সমান দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নিচের এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হল। টেকনিক্যাল স্কিলস (Technical Skills) কাউকে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার হতে হলে, তাকে অবশ্যই টেকনিক্যাল স্কিলস এ দক্ষ হতে হবে যা নিম্নে বলা হলঃ একাউন্টিং ও ফাইনান্স (Accounting & Finance) বিজনেস ডেটা ও অ্যানালিটিক্স (Business Data and Analytics) এমপ্লয়মেন্ট ল’ (Employment Law) ইথিকাল বিজনেস প্র্যাকটিস (Ethical Business Practices) গ্লোবাল পরিবেশ ও কালচার সংক্রান্ত সচেতনতা (Global and Cultural Awareness) লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্ট (Leadership and Management) প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট (Project Management) টেকনোলজি (Technology) সফট স্কিলস (Soft Skills) একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসারের টেকনিক্যাল স্কিলস এর পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলোতে সমানভাবে দক্ষ হওয়া প্রয়োজনঃ অ্যানালাইসিস (Analysis) প্রতিটি বিষয়ের উপর যথাযথ মনোযোগ দেয়া (Attention to Detail) কমিউনিকেশন - Communication (Verbal and Written) বিরোধ নিস্পত্তি করা (Conflict Resolution) অরগেনাইজ করা (Organization) প্রবলেম সল্ভিং (Problem-Solving) কিভাবে একজন চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার বা CHRO হওয়া সম্ভব এইচআর ডিপার্টমেন্টে পড়াশুনা না করে ও আরো বিভিন্ন ভাবে এই সেক্টরে চাকরি করা সম্ভব। কিন্তু এই আর্টিকেলে আমরা শুধু প্রথাগত পদ্ধতিগুলো আলোচনা করেছি। এইচ আরে অনার্স বা মাষ্টারস ডিগ্রী অর্জন করা আপনি HRM-এ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে নথিভুক্তি নিতে পারেন। এইচআরএম-এ পিজিডি অফার করে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এইচআরএম-এ সর্বাধিক চাহিদাপূর্ণ পিজিডি ডিগ্রি বিআইএম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) দ্বারা অফার করা হয়। প্রফেশনাল ডিপ্লোমা আপনি HRM-এ ডিপ্লোমা ডিগ্রী ও নিতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্টান এইচআরএম-এ পিজিডি অফার করে । এইচআরএম-এ বিআইএম (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) কতৃক চালু করা পিজিডি ডিগ্রি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য। এছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে যারা HRM-এ PGD অফার করে। আপনি চাইলে নিচের তালিকাটা দেখতে পারেন। এরা সবাই এইচআরএমে ডিপ্লোমা অফার করে: PGDHRM - Post Graduate Diploma in Human Resource Management(BIMS) PGD in Human Resource Management | PGDHRM - ABP (ABP) Admission Going On: Post Graduate Diploma in Human Resources Management (PGDHRM) | United International University (UIU) PGD Human Resource Management PGDHRM - BIHRM: BIHRM supply chain (BIHRM) Bangladesh Institute of Supply Chain Management (BISCM) Post Graduate Diploma in Human Resource Management (PGDHRM) (AIUB) WARD - Post Graduate Diploma in HRM (PGDHRM) accredited by EduQual-UK (WARD Bangladesh) প্রফেশনাল কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা CHRO হিসেবে ক্যারিয়ার সেট করতে চাইলে পেশাগত অভিজ্ঞতা খুবই জরুরি. নিয়োগ কারি, ব্যবস্থাপক কিংবা মুল্যায়নকারী হিসেবে পুর্বের অভিজ্ঞতা এই পদের জন্য সিভিতে ভ্যালু এড করে। তবে কোম্পানিগুলোতে প্রমোশন সাধারনত নিচের হাইয়ারার্কিগুলো ফলো করে করা হয়ে থাকে। HR Assistant / Officer: এটা একটা এন্ট্রি-লেভেল পজিশন এখানে নতুন কর্মীদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া এবং পুরাতনদের কোম্পানির নীতি এবং পলিসি সম্পর্কে অবহিত করা থাকে মুল দায়িত্ব। HR specialist: যেকোন একটা নির্দিষ্ট ফিল্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়। যেমন নিয়োগ কিংবা প্রশিক্ষন। HR manager: ম্যনেজারের দায়িত্ব আরেকটু বড় থাকে। এক্ষেত্রে বাজপাখির চোখে দেখতে হয় তাদের কার্যাবলির মাধ্যমে কী প্রতিষ্টানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে। HR Director: ম্যনেজারে উচ্চ পদে যারা আছে যাদের ম্যনেজার চাইলে ও কিছু বলতে পারেনা তাদের তদারকি করা। । অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শুধু এইচআর ফিল্ডে কাজ করতে হবে ব্যপারটা এমন না। মানুষকে ম্যনেজ করতে হয় কিংবা লিড দিতে হয় এমন যেকোন কাজই এইচআর এক্সপেরিয়েন্স নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একজন CHRO হতে হলে নিজের মধ্যে গ্রোথ মাইন্ডসেট এবং সব সময় স্কিলস ডেভেলপ করা প্রয়োজন CHRO পদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে এখনো সব প্রতিষ্টান শুধুমাত্র হিউম্যান রিসোর্স ম্যনেজের জন্য একজন সি ক্যটাগরির ইমপ্লয়ি নিতে ইচ্ছুক না। তাই CHRO হিসেবে কাজ করতে চাইলে লিডারশিপ, ব্যবসায় পরিচালনা এবং কৌশলগত আরো বিভিন্ন কাজে কোম্পানিকে সহয়তা করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থায়ন কিংবা বিজনেস এনালিস্ট সংক্রান্ত কিছু কোর্স বাড়তি সুবিধা দিবে কর্মক্ষেত্রে। একজন CHRO হিসাবে সব সময় একটা গ্রোথের মানসিকতা থাকতে হবে সেই সাথে অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানী ভিশন এচিভ করতে পারা সেই সাথে কর্তব্যরত কর্মীরা যেন নিত্য নতুন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এটা নিশ্চিত করতে পারলেই আপনি একজন ভালো CHRO হতে পারবেন। এছাড়া নিচের যোগ্যতা গুলো থাকলে কিছুটা হলে ও এগিয়ে যাবেন। কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা প্রচুর তথ্য জানা কর্মীদের অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা প্রতিভা এবং দক্ষতা শুন্যতা সনাক্ত করতে পারা। একই সময়ে, নতুন জিনিস জানার চেষ্টা করুন এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করুন। এবং সেই সাথে কর্মীদের ও একই জিনিস পরামর্শ দিন। সারমর্ম আমাদের দেশ ইনফ্যাক্ট পুরো বিশ্বে প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা বা CHRO খুব নতুন একটা পদ। এই পদে বেশ সম্ভবনা আছে। তবে জটিলতা ও আছে। আপনি চাইলে প্রথাগত পদ্ধতিতে পড়াশুনা করে এই পদে যেতে পারবেন। তবে প্রথাগত পড়াশুনার বাহিরে অন্য ফিল্ড থেকে ও শিফট করতে পারবেন। তবে যেটা জরুরি সেটা হলো মানুষকে নেতৃত্ব দিতে পারা এবং জাজ করতে পারা।
More detailsPublished - Sat, 06 May 2023
Created by - Analyst Skill
Power BI কী? Power BI হলো মাইক্রোসফটের তৈরিকৃত একটি Business Intelligence সফটওয়্যার। এটি এক বা একাধিক উৎস থেকে বিশাল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং সেগুলোকে এনালাইসিস করে গ্রাফ, চার্ট, ড্যাশবোর্ড ইত্যাদির দ্বারা উপস্থাপনের মাধ্যমে Insights প্রদান করে। পাওয়ার বিআই এর সাথে মাইক্রোসফট Excel এর কিছুটা মিল থাকলেও Power BI-এ অনেক বেশি তথ্য নিয়ে কাজ করা যায় যা এক্সেলে সম্ভব নয়। এছাড়াও এই সফটওয়্যার দিয়ে আরো অনেক অ্যাডভান্সড টাস্ক সম্পন্ন করা যায় যা এক্সেলে সম্ভব নয়। তবে Power BI যেহেতু মাইক্রোসফটের একটি সার্ভিস সেহেতু মাইক্রোসফটের অন্যান্য সার্ভিসের সাথে খুব সহজেই এটাকে ইন্টিগ্রেট করা সম্ভব। যারা Office 365 ব্যবহার করতে জানেন তারা সহজেই Excel এর বিভিন্ন ডেটা ও রিপোর্ট Power BI এর সাথে যুক্ত করতে পারবেন। আজকের ব্লগে আমরা এই Power BI সফটওয়্যারের প্রধান সুবিধা, এটা চাকরির বাজারে কেমন চাহিদাপূর্ণসহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে তুলে ধরবো। Power BI এর প্রধান সুবিধাসমূহ Power BI এর এমন কিছু সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য আছে যেগুলো একে অন্যান্য Business Intelligence টুল থেকে আলাদা করেছে। এমন কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো। Power BI এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটাতে অনেক ধরনের ফাইল ফরম্যাটে থাকা ডেটা ইনপুট করা যায়, সেগুলোকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা যায় এবং উপস্থাপন করা যায়। ডেটা ফাইলটি কোথায় তৈরিকৃত কিংবা কোন ফরম্যাটে আছে সেটা এখানে বড় কোনো সমস্যা না। কারণ এটি Excel, CSV, PDF, Text, Azure, SQL, XML, JSON ইত্যাদির মতো অসংখ্য ফাইল ফরম্যাটে থাকা ডেটা নিয়ে কাজ করতে পারে। এই সফটওয়্যারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো এতে Power Query, Power Pivot, Power View এর মতো একাধিক প্রয়োজনীয় কম্পোনেন্টস রয়েছে। Power Query হলো এমন একটি ডেটা ট্রান্সফরমেশন ও ম্যাশ-আপ টুল যেটি একাধিক উৎস থেকে ডেটা নিয়ে বিশ্লেষণ উপযোগী করার জন্য ইন্টার-কানেক্ট, কম্বাইন ও রিফাইন করতে পারে। Power Pivot হলো অনেক বেশি ডেটা একসাথে ও দ্রুত Analyze Model করার টুলস। আর Power View হলো আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্যভাবে ডেটা উপস্থাপনের টুল যেটা শুধু Power BI-এ নয়, SQL Server, MS Excel, Sharepoint ইত্যাদিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে। এই সফটওয়্যারটির আরেকটি সুবিধা হলো অন্যান্য BI সফটওয়্যারের চেয়ে এর সাবস্ক্রিপশন ফি তুলনামূলক খুবই কম। এছাড়া Power BI Desktop এর ফ্রি ভার্সনও আছে, যেটা নতুনদের জন্য একটি ভালো সুযোগ বটে। যদিও Power BI-এ অনেক Visualization Template রয়েছে, তবুও ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মার্কেটপ্লেস কিংবা অন্যকোনো উৎস থেকে Custom Template ডাউনলোড করে এটাতে ব্যবহার করতে পারে। যা ড্যাশবোর্ড ও রিপোর্ট তৈরিতে অনেক বেশি সুবিধা দেয়। Power BI এর অন্যতম চমৎকার আরেকটি সুবিধা হলো এটাতে ডেটা ইনপুট করার পরে সেই ডেটা থেকে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানা যায়। যেমন ধরুন, আপনি যদি জানতে চান, What are the total sales? এই টুলটি খুব সহজেই এই প্রশ্নের উত্তর টেক্সটসহ গ্রাফ, চার্টের মাধ্যমে দিতে পারবে। আর এটাকে QNA ফিচার বলা হয়। এই টুলের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও আছে। যেটা যেকোনো ব্যবহারকারীর জন্য ডেটা দেখা ও পড়া সহজ করে দেয়। কারণ Dashboard কিংবা Report দেখার জন্য সবসময় ডেস্কটপ চালু করার প্রয়োজন নেই, ব্যবহারকারী এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও তা দেখতে পারে। Power BI থেকে একটা কোম্পানি কীভাবে উপকৃত হতে পারে? Power BI-সহ এর মতো অন্যান্য Business Intelligence সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। ব্লগের এই অংশে বিশেষ করে Power BI থেকে একটি কোম্পানি কীভাবে উপকৃত হতে পারে সেগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। Power BI-এ একসাথে একাধিক উৎস থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ডেটা নিয়ে কাজ করা যায় এবং এগুলো খুব দ্রুত এনালাইসিস করা যায়। বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেগুলোতে অনেক বেশি ডেটা স্টোর করে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি খুবই উপযোগী। তাছাড়া অন্যান্য সফটওয়্যারের তুলনায় এতে খচরও অনেকটা কম। Power BI-এ ব্যবহৃত Machine Learning Technology প্রতিষ্ঠানের ডেটাগুলো ইনপুট হিসেবে নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল পূর্বানুমান করতে পারে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সহায়ক হবে। Power BI সফটওয়্যারটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি নিজস্ব সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকে। তাই এইখানে সম্পাদিত সকল কাজ নিয়মিতভাবে সার্ভারে সেভ করা সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া এটা Cloud ভিত্তিক সার্ভিস হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত যেকোনো ব্যবহারকারী যেকোনো স্থান থেকেই ড্যাশবোর্ড, রিপোর্ট ইত্যাদি দেখতে পারেন যা অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমিয়ে দেয়। এটি Microsoft এর সার্ভিস হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট ভিত্তিক অন্যান্য সার্ভিস যেমন Office 365, SharePoint, Dynamics 365 সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসের সাথেও খুব সহজেই একে সংযুক্ত করা যায়। যা কাজকে আরও সহজ করে এবং কাজের গতি বজায় রাখে। এছাড়া এই সফটওয়্যার থেকে ডেটা পাইরেসি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, কারণ Microsoft এর মতো বড় টেক কোম্পানি সর্বদা এর Data Saftey নিশ্চিত করে। আর Power BI ব্যবহার করতে যেহেতু কোনো কোডিং কিংবা প্রোগ্রামিং জ্ঞানের প্রয়োজন নেই সেহেতু Non-technical ব্যক্তিরাও এটি ব্যবহার করতে পারেন। এখানে শুধু drag and drop করেই সকল কাজ করা যায়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের সকল ধরণের মানুষই এটি মোটামুটি ব্যবহার করতে পারে এবং রিপোর্টগুলো বুঝতে পারে। কোনো কোম্পানির সকল ডেটা সুবিন্যাস্ত থাকে না কিংবা সকল ডেটা একই উৎসে ও একই ফাইল ফরম্যাটে থাকে না। সেই অবিচ্ছিন্ন ডেটাগুলোকে ব্যবহারোপযোগী করার জন্য কোনো না কোনো BI টুল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। আর অন্যান্য BI টুলের চেয়ে Power BI-এ বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। তাই কোম্পানি BI টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটাকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করতেই পারে। Power BI শিখে কেমন চাকরি পাওয়া যায়? প্রতিটি ব্যবসায় ও অব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো Data। ডেটা সংগ্রহ থেকে শুরু করে সেগুলো সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ লাভজনক সুবিধা অর্জন করতে পারে। আর যেহেতু Power BI এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে, কর্পোরেট সেক্টরের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদের কাজের জন্য নিয়মিত এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকে। এমন কিছু পেশা হলো- Business Intelligence Architect Business Analysts Financial Analyst Data Analysts Marketing Analyst Supply Chain Analyst BI Developer সারসংক্ষেপ বর্তমান দুনিয়ায় Data Analyst সম্পর্কিত পেশাগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর এসব কাজে ব্যবহৃত জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Power BI। বর্তমানে প্রায় ৫ মিলিয়নের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান Power BI ব্যবহার করছে, এবং অদূর ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটি আরও বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি একজন বিজনেস এনালিস্ট, ডেটা এনালিস্ট কিংবা এগুলোর সাথে সম্পর্কিত কোনো পেশায় যেতে চান তাহলে Power BI ব্যবহার করাটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ এটার ব্যবহার অনেকটা MS Excel এর মতোই। তাই Excel ব্যবহার করতে জানে এমন কেউ সহজেই এটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। মাইক্রোসফট পাওয়ার বিআই ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
More detailsPublished - Wed, 03 May 2023
Thu, 01 Jun 2023
Sun, 21 May 2023
Wed, 17 May 2023
Write a public review